পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ર8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। তুমি বহু অন্বেষণ ও বহু সাধন করিয়াছ। যাহা সত্য বলিয়া তুেমার .প্ৰতীতি হইয়াছে তাহা তুমি চিরদিন ব্ৰাহ্মসমাজে প্রচার করিয়া আসিতেছ। তুমি অবশ্য অবগত আছ যে সকল যোগ অপেক্ষা অধ্যাত্মযোগ আত্মজ্ঞানী ব্ৰহ্মের পক্ষে নিতান্ত শ্রেয়স্কর ৷ তোমার প্রতি আমার এই অনুরোধ তুমি ব্ৰাহ্মদিগকে এই যোগের শিক্ষা দেও, ব্ৰাহ্মসমাজের হিতসাধন কর । যদি জ্যোতির্বিদ্যা প্ৰভৃতি অপর বিদ্যা শিক্ষার জন্য আচাৰ্য্যের আবশ্যক হয়, তবে কি সর্বোৎকৃষ্ট ব্ৰহ্মবিদ্যার জন্য আচাৰ্যের আবশ্যক হইবে না ? এমন কখনই হইতে পারে না। নিপুণরূপে ব্ৰহ্মজ্ঞান শিখিতে হইলে বিদ্বান গুরুর নিতান্ত আবশ্যক । অতএব ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মগ্রন্থে এই উপদেশ আছে ;--“তদ্বিজ্ঞানাৰ্থং স গুরু মেবাভি গাচ্ছেৎ।” সদৃগুরুর নিকট শিক্ষা ব্যতীত তঁাহার পদে পড়িয়া থাকা, প্ৰসাদগ্ৰহণ প্ৰভৃতি কাৰ্য্যের কিছুই মাহাত্ম্য নাই । ইহা কখন ধৰ্ম্মসাধনের উপায় নহে। সদগুরুর নিকটে শিক্ষা লাভ করাই একমাত্র উপায় । পৌত্তলিককে নিরাকার ব্রহ্মোপাসক করাই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের মুখ্য উদ্দেশ্য। পৌত্তলিককে তাহার। ভ্ৰান্তি বুঝাইয়া দিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানের উপদেশ কর । কিন্তু একথা বলিও না যে ;---“যাহার যাহা বিশ্বাস তিনি তাহাই সরল ভাবে সাধন করুন, কালে সত্য লাভ করিবেন।” এ কথা বলিলে কালেরই প্ৰাধান্য দেওয়া হয়, আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদেশও আবশ্যক থাকে না । এইরূপ বাক্যে নিরাকার নির্বিকার ব্ৰহ্মজ্ঞানের প্রতি ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসুর চৈতন্যের উদ্রেক করা দুরে থাকুক। বরং তদ্বিরুদ্ধে সাকার দেব দেবীর প্রতিই তাহার সংস্কারকে দৃঢ় করিয়া দেওয়া হয়। অতএব ইহাতে সাবধান থাকিয়া