পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের কল্যাণ 5िङ्ख्या । v9SS তাহারা যদি ছেলেদের সহিত বিশেষ ভাবে মিশিয়া তাহাদিগকে প্ৰাণ খুলিয়া নিজ জীবনের সমস্ত বিষয় বলিবার সুবিধা দিয়া তাহাদিগকে বীৰ্য্য রক্ষা করিতে ও সত্য কথা বলিতে অভ্যাস করাইতে পারেন তাহা হইলে তাঁহাদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ হয়।” এই বলিয়া ছাত্রগণ গেণ্ডারিয়া আশ্রমে তাহার নিকট জীবনের গুহা কথা বলিয়া কিরূপে সদুপদেশ লাইত তাহার বিষয় উল্লেখ করিলেন । দেশের দুৰ্গতি দেখিয়াই তিনি তঁাহার সাধনার ধন নরনারীর জন্য বিতরণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন । একদিন কথা প্রসঙ্গে বলিতেছিলেন ;—“নিজের প্ৰিয়তমা সুন্দরী স্ত্রীকে দান করিতে লোকের হৃদয় ছিন্ন হয়। উহা অাদরে ও গোপনে রক্ষণীয়া । সেইরূপ বহু সাধনের ধন এই জিনিষ সাধুরা কাহাকেও দান করেন না, অত্যন্ত গোপনে রক্ষা করেন।” এইকথা শুনিয়া একজন প্রশ্ন করিলেন ;- “তবে এই মুক্ত জঙ্গলে ছড়াইলেন কেন ?” উত্তর করিলেন“ইহসংসারে তাপের যন্ত্রণ। আমি নিজে ভোগ করিয়াছি । ইহা হইতে জগৎ রক্ষা পাইবে আশায় তাপিত ব্যক্তিদিগকে ইহা দান করিয়াছি।” পরবৎসর ( ১২৯৯ সান ) তিনি পুনরায় সাশিন্যে ঢাকার আশ্রমে গমন করিয়া প্রায় এক বৎসরকাল তথায় অবস্থান করেন। এই সময় তাহার মাতৃবিয়োগ হয় । মৃত শব তাহার বিভিন্ন শ্রেণীর শিষ্যগণ বহন করিয়া লইয়া গিয়া দাহ করেন । তিনি সন্ন্যাসী ; এজন্য সন্ন্যাসাশ্রমের নিয়মে দানাদি সহকারে মাতৃশ্ৰাদ্ধ করেন । মাতার প্রতি র্তাহার গভীর ভক্তি ছিল ; মাতার কথা বলিতে বলিতে কত সময় তাহার চক্ষু আৰ্দ্ধ হইয়া যাইত, তিনি ভাবে বিভোর হইয়া পড়িতেন । এইবার ঢাকা অবস্থান কালে তিনি মৌনব্ৰত গ্ৰহণ করেন। যে প্ৰিয়তম দেবতার স্মরণ মননে তাহার