পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰয়াগের কুম্ভমেলায় । , , ©&&; চাহিবে না।” এইরূপে আশ্রমের এবং দৈনিক দানের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ হইত। আর যখন কেহ আসিয়া অভাব জানাইত প্ৰায় তখনই তাহা পূর্ণ হইত। কেহ আসিয়া বলিল আমার কম্বল নাই, দাও উহাকে দুই টাকা, কেহ বলিল আমার ঘটী নাই, দাও উহাকে এক টাকা, কেহ বলিল রেলভাড়া নাই, দাও যাহা প্ৰয়োজন । এইরূপে যতক্ষণ টাকা নিঃশেষিত না হইত। অনবরত দান করিতেন । টাকা ফুরাইয়া গেলে নিজের গাত্ৰবন্ত্র, আসনের কম্বল, পায়খানার ঘটী ইত্যাদি নিতান্ত আবশ্যক দ্রব্য পৰ্য্যন্ত দান করিয়া ফেলিতেন । অর্থের সঙ্গে তাহার কোন সম্পর্ক ছিল না । বলিতেন ;-“এখানকার সকল পদার্থে সমস্ত নরনারীর অধিকার । ভগবানই সমস্ত দিতেছেন, আবার তিনিই অভাবগ্ৰস্ত নরনারীকে এখানে পাঠাইতেছেন । আমি তাহার মুটে মাত্র । এ তাহারই ভাণ্ডার, তিনিই আনিতেছেন, আবার তিনিই লইয়া যাইতেছেন, আমি ভাণ্ডারী মাত্র।” একদিন এলাহাবাদ সহরের একজন ধনী তাহার নিকট আসিয়া" যোড়হস্তে দাড়াইলেন ; এবং কয়োজন লোক প্ৰকাণ্ড একটী গাঁটুরী সঙ্গে করিয়া তাবুর দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হইল। ঐ ধনী ব্যক্তি উক্ত গাটুরীতে এক হাজার জামা লইয়া আসিয়াছিলেন, অভিপ্ৰায় এই গোস্বামী মহাশয় তাহা গ্ৰহণ করিয়া ইচ্ছামত বিতরণ করেন । তঁহার দান গৃহীত হইয়া এক ঘণ্টার মধ্যে বিতরিত হইল। কুম্ভমেলায় সমাগত সাধুমণ্ডলীর অনেকে তাহার ভক্তি ও প্রেমে যারপরনাই আকৃষ্ট হইয়াছিলেন । এইহেতু অনেক সন্ন্যাসীও তাহার নিকট দীক্ষা গ্ৰহণ করেন । তিনি সন্ন্যাসী দিগকে রাজনীতে গোপনে দীক্ষা দিতেন । মহাত্মা বড় কাটিয়া বাবা ( ইনি একজন বিখ্যাত সাধু) তাহার নাম করিয়া বলিতেন ;—“বাবা প্ৰেমী হ্যায়;