পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· ගෞ" | মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । না করিলে তঁহাকে গুরুতর আঘাত পাইতে হইত । ভগবৎকৃপায় তিনি রক্ষা পাইলেন । কুম্ভমেলা হইতে আসিয়া তিনি নবদ্বীপে চৈতন্যোৎসবে গমন করেন। তথায় কয়েক দিন খুব কীৰ্ত্তন হয়। কীৰ্ত্তনে একদিন একটী স্ত্রীলোক উন্মত্ত প্ৰায় হইয়াছিলেন । তঁহার আশ্রমে জাতির বিচার ছিল না ; এজন্য নবদ্বীপে যে কয়েক দিন ছিলেন আশ্রমের রন্ধনের কাৰ্য্য কোন উদাসীন কায়স্থ শিস্যদ্বারা সম্পন্ন হইলেও ব্রাহ্মণ শূদ্ৰ সকলে মিলিয়া আহার করিয়াছিলেন । তিনি কলিকাতা আসিয়া সুকিয়াষ্ট্রীটে অবস্থান করিতেছেন ; ইতিমধ্যে র্তাহার অষ্টাদশ বর্ষীয় কনিষ্ঠা কন্যা জরুবিকারে আক্রান্ত হইল ; ডাক্তার নীলরতন সরকার ও জগদ্বন্ধু বসু চিকিৎসায় নিযুক্ত হইলেন । প্ৰাণপণে রোগ প্ৰতীকারের চেষ্টা হইতেছিল। কিন্তু রোগিনীর অবস্থা ক্ৰমেই শোচনীয় হইতে লাগিল । আত্মীয়স্বজনের উদ্বেগের অবধি নাই ; কখন শেষ মুহূৰ্ত্ত উপস্থিত হয়। ভাবিয়া সকলেই অধীর হইয়াছেন। সকলের এইরূপ অস্থিরতার মধ্যেও কন্যার পিতা পূর্বের ন্যায় স্থিরভাবে পরামর্শ দিতেছেন ;- যথাসাধ্য চিকিৎসার বন্দোবস্ত কর, ভবিষ্যৎ ভগবানের হাতে এজন্য ব্ল্যস্ত হইতেছে কেন বলিয়া সকলকে আশ্বাস দিতেছেন। অবশেষে মধ্যাহ্নে তাহার উঠিবার সময়ে নিয়মিত কাৰ্য্য সম্পাদনার্থ যাওয়ার সময় জানালাদিয়া একবার ; চাহিয়। দেখিয়া গেলেন। ক্ৰমে শেষ মুহুৰ্ত্ত উপস্থিত হইল, একজন শিস্য কবিরাজী চিকিৎসার প্রস্তাব করিলেন, তিনি মৃদু হাসিয়া বলিলেন ;---“যাহাতে তোমাদের মনে কোন ক্ষোভ না থাকে তাহাই কর।” সমস্ত চেষ্টা বিফল হইল, কন্যার দেহত্যাগ হইল (১৩০১ জ্যৈষ্ঠ) বাড়ীতে কান্নার রোল পড়িল, কিন্তু তাহার কোনই পরিবর্তন হইল না ; তিনি