পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । থাকেন তাহার কৰ্ত্তব্য তিনি নিজে বিশেষভাবে না জানিয়া কোন সাধুকে তঁাহার নিকটে যাইতে না দেন।”* তিনি ধনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তা ইচ্ছা করিতেন না, আবার ধনী দিগকে অবজ্ঞা বা উপেক্ষাও করিতেন না। বরং বলিতেন ধনীদের উপরু অনেক লোকের সুখ দুঃখ ন্যস্ত আছে ; একটা ধনী সৎ হইলে কতলোক সৎ হয়, একটী ধনী অসৎ হইলে কত লোক অসৎ হয়। ধনীরা উপেক্ষার পাত্র নয়। কিন্তু ধনী লোকের বেশী সঙ্গ করা সাধুদের পক্ষে উচিত নয়। এরূপে অনেক সাধুর পতন হইয়াছে। ধনীর সহবাসে একটী সাধুর পতন বিবরণ একদিন এইরূপ বলিয়াছিলেন ;— এক জমিদার মোকদ্দমায় পড়িয়া কোন সাধুর শরণাপন্ন হইলেন । সাধু অনেক অনুনয় বিনয় করিয়াও তাঁহাকে নিয়াস্ত করিতে পারিলেন না। অবশেষে একটী তুলসীপত্ৰ দিয়া বিদায় করিলেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে জমিদারের ভাগ্য প্ৰসন্ন হইল, তিনি জয়লাভ করিলেন । ইহাতে সাধুর প্রতি র্তাহার এরূপ প্রগাঢ় ভক্তির উদয় হইল যে সাধুর আশ্রমের ব্যয় নিৰ্ব্বাহাৰ্থ দেবোত্তর সম্পত্তি দানে ইচ্ছক হইলেন। সাধু প্ৰথমে উহা গ্রহণে সম্মত হন নাই ; কিন্তু শিষ্যগণের অনুরোধ ও তঁাহারাই সমস্ত ব্যবস্থা করিবেন শুনিয়া সম্মত হইলেন । ইহার পর জমিদারের মৃত্যু হইলে উক্ত সম্পত্তি লইয়া জমিদার পুত্রের সঙ্গে শিষ্যগণের মোকদ্দমা আরম্ভ হইল,সাধু ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বিসৰ্জন দিয়া বিপন্ন শিস্যগণের রক্ষার জন্য উকীলের গৃহে গমনাগমন আরম্ভ করিলেন। এই ভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হইলে একদিন সহসা সাধুর বিবেক জাগ্রত হইল, তিনি ভাবিলেন;-“হায় হায়, আমি কি এই জন্য সংসার ছাড়িয়া আসিয়াছি ? ছি, ছি, ধিক আমাকে, আর না, আমি --- 米 可可巧f页5,>9·心环可代