পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ঘাসে শিশির বিন্দুতে জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্ৰহ্মকে দর্শন করিয়া আমি আত্মসম্বরণ করিতে পারি নাই । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ পুরীতে অবস্থান, বিবিধ কাৰ্য্য, দেহত্যাগ। গোস্বামী মহাশয় অহেতুকী ভক্তির উপাসক ছিলেন । এই অহেতুকী ভক্তির সাধনে তিনি তাহার প্রাণ মন সকলই উৎসর্গ করিয়াছিলেন । এই ভক্তিপথে প্ৰেমাবতার শ্ৰীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও উপদেশ তাহার বিশেষ সহায় হইয়াছিল। এজন্য মহাপ্রভুর নামে তিনি ভাবে উন্মত্তপ্ৰায় হইয়া উঠিতেন ; শচীনন্দন শচীনন্দন বলিয়া চীৎকার করিতেন । শুনিয়াছি একদিন কথা প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন ;--- “আমি যখন ব্ৰাহ্মসমাজে ছিলাম। তখন একদিন হাজারিবাগের রাস্তায় নির্জনে এই অভিপ্ৰায়ে গড়াগড়ি দিয়াছিলাম যে মহাপ্ৰভু এইপথে গিয়াছিলেন যদি তাহার পদধূলির এক কণাও গায়ে লাগে কৃতাৰ্থ হইয়া যাইব ।’ ইহাতে প্রেমিকের প্রতি কি গভীর অনুরাগেরই না। পরিচয় পাওয়া যাইতেছে । মহাপ্ৰভু শ্ৰীচৈতন্য বহু দিবস নীলাচল ভূমিতে সাধন ভজনে যাপন করিয়াছিলেন । ঐ সময় তাহার প্রতি অনুরক্ত বঙ্গবাসীগণ প্ৰায় বিশ বৎসর ধরিয়া প্ৰতিবৎসর পথের সমস্ত ক্লেশ আনায়াসে সহ্যু করিয়া র্তাহার সঙ্গলাভের জন্য বঙ্গদেশ হইতে নীলাচলে পদব্রজে গমন করিয়াছিলেন । এদেশের নরনারীর প্রাণ ভক্তির প্রতি, ভক্তিসাধকের প্রতি