পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। পাতিয়া রাখিয়াছিলেন। কাহাকেও উপনয়নের জন্য পাঁচ টাকা, কাহাকেও পাথেয়। বাবদ পচিশ টাকা, কাহাকেও ঘর মেয়ামতের জন্য বিশ টাকা, কাহাকেও বা অন্য নানা কারণে ৫, ১০, ১৫, ২০ টাকা সর্বদা দান করিয়াছেন । দান সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলে বলিতেন, “এ দান আমার কৃত নয়, ঈশ্বর জগন্নাথদেবের আদেশে দান করিতেছি, আমার এক পয়সাও দিতে শক্তি নাই ।” তাহার দানে মুগ্ধ হইয়া লোকে বলিত, “বড় নাম ঢপঢপালে” অর্থাৎ খুব নাম প্রচার করিলে । তিনি বলিতেন, “নাম অতল তলে ডুবে যাক, নাম দিয়ে কি হবে ?” একদিন সম্বলপুরের একদল কৃষক তঁহাকে দেখিতে আসিয়াছিল। তন্মধ্যে একটী স্ত্রীলোক তঁহাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া “রাম বিনু অযোধ্যা আন্ধিয়ার” পদযুক্ত একটি গান করিয়াছিল। গান শুনিয়া তাহার সমাধি হয় । তৎপর সমাধি ভঙ্গে তিনি স্ট্রীলোকটীকে ১০ । ১২ টাকা মূল্যের একখানি মুগার বস্ত্ৰ দান করেন । তিনি যে দিবস সমুদ্রস্নানে ও মন্দির দর্শনে গমন করিতেন, সে দিবস। দানে শত শত টাকা ব্যয়িত হইত। মন্দিরে ও সমুদ্রমানে গিয়া সময় সময় তিনি ভাবে আত্মহারা হইয়া পড়িতেন । একদিন বলিলেন ;-—“মন্দিরে গিয়া দেখিলাম আকাশ পাতাল জ্যোতিস্ময়, সমস্ত পুরী ব্যাপিয়া লোকনাথ বিরাজ করিতেছেন।” আবার ; কোন সময় এরূপও বলিয়াছেন যে,-“জগন্নাথ কোথায়? ওখানে কেবল চামচিক রাশি উড়িতেছে। পাণ্ডাদের জন্য ঈশ্বর জগন্নাথদেব এখানে তিষ্টিতে পারেন না, তিনি ভক্তের গৃহে আছেন।” একদিন মন্দিরে অনেক টাকার পয়সা, দুয়ানী ও বস্ত্ৰ দান করি।- লেন, একদিন সমুদ্রস্নানে গিয়া কতকগুলি স্ত্রী পুরুষকে ধুতি চাদর