পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧ર মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । দ্রব্যের রক্ষণভার অর্পিত হইয়াছিল। শুনিয়াছি বাজারের লোটা, ধুতি, চাদর সমস্ত নিঃশেষিত হইয়াছিল, কিছুমাত্র অবশিষ্ট ছিল না। বিভিন্ন শ্রেণীর সাধু, সন্ন্যাসী, দুঃখী, কাঙ্গাল, ব্ৰাহ্মণ, গৃহী সহস্ৰ সহস্ৰ লোককে পরিতোষ পূর্বক ভোজন করাইয়া লোটা বস্ত্ৰ দান করা হইয়াছিল। এই দিনের বিপুল সেবার কাৰ্য্য অপরাহ্ন পাঁচ ঘটিকার সময় আরব্ধ হইয়া রাত্ৰি প্ৰায় দুই ঘটিকার সময় শেষ হইয়াছিল ; এবং যে প্রচুর সামগ্ৰী উদ্ধান্ত হইয়াছিল, তাহাও দানের জন্য ব্যয় করিতে একজন মহান্তের উপর ভার দিয়াছিলেন । শুনিয়াছি। এই কাৰ্য্যে তাহার প্রায় উনিশ হাজার টাকা এবং পুরীতে বৎসরাধিক কালে তঁাহার আশ্রম হইতে বিবিধ প্রকারের দানে প্ৰায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল । যে আশ্রমের কোন নির্দিষ্ট আয় ছিল না, সেই আশ্রম হইতে এত টাকা দানে ব্যয়িত হওয়া অদ্ভুত ব্যাপার সন্দেহ নাই । দানের জন্য র্তাহার বহুসহস্র টাকা দোকানে ঋণী হইয়াছিল, , কেহ কেহ এ জন্য আশঙ্কাযুক্তও হইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি বলিতেন — “কোথা হইতে এই টাকা আসিবে তজ্জন্য তোমরা বিন্দুমাত্ৰ সংশয়যুক্ত বা ভীত হইও না । নিশ্চয় জানিও যিনি এ কাৰ্য্য করিতে হুকুম করিয়াছেন তিনিই ইহার ব্যবস্থা করিবেন।” দানের জন্য দোকানে সহস্ৰ সহস্র টাকা ঋণ হইয়াছিল। তবু দোকানী ভীত হইয়া বাকী দিতে । সন্ধুচিত হয় নাই, সহস্ৰ সহস্র টাকা বাকী থাকিতে আবার সহস্ৰ সহস্র টাকার জিনিষ বাকী দিয়াছে । তঁহার কোন সংস্থান নাই, ইহা সকলই জানিত, তবু দোকানীর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছিল জটিয়া বাবার টাকা কখনও অনাদায় থাকিবে না। বিষয়ী লোকের অর্থ শোণিত তুল্য। সেই শোণিত তুল্য অর্থ এইরূপে সাধুর পায়ে ঢালিয়া