পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

098. মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। अकाणीांन করিয়াছিলেন। তঁহার তিনখানি বস্ত্ৰখণ্ড * ব্যতীত কিছুই ছিল। না,ইহা স্মরণ করিলে বোধ হইবে দান তঁাহ্বার উপলক্ষ্য ছিল; কিন্তু লক্ষ্য দিবসব্যামিনী ব্ৰহ্মসহবাস লাভ । তীব্রবৈরাগ্য, উজ্জ্বল বিবেক, চিত্তের দীনতা, হৃদয়ের প্রগাঢ় পবিত্ৰতা সকল কাৰ্য্যের অভ্যন্তর দিয়া তাহাকে এই লক্ষ্য সাধনে সাহায্য করিয়াছিলেন। " র্তাহার শেষ জীবনের ঘটনাবলী দ্বারা ইহা প্ৰতিপন্ন হইয়াছে— দু, আহারে, বিহারে, শয়নে, বিশ্রামে, দানে কি অন্য যে কোন কাৰ্য্যে छैर्घटन्नद्र আদেশ না শুনিয়া তিনি কিছু করিতেন না । পুরীতে অনেক সময় আহার করিতে করিতে নিস্তব্ধ হইয়া বসিয়া থাকিতেন, যেন কাহারও বাণী শুনিতেছেন ; পথ চলিতে চলিতে এমন ব্যবহার করিতেন যাহাতে মনে হইত। কে যেন তাহাকে লইয়া চলিয়াছেন । পথের কঁাকড়ে চলিতে চলিতে কষ্ট হইত, যেন কাহাকে বলিলেন, তিনি তঁহার ক্লেশামোচন করিলেন, পথের কাকড় সরাইয়া দিলেন । আহার করিতে করিতে কত মধুরতা অনুভব করিতেন, বলিতেন ;-—“ম আজ স্পর্শ করিয়া দিয়াছেন এজন্য খাদ্য এত মধুর হইয়াছে।” এইরূপে র্যাহার জীবনের প্রত্যেক মুহুৰ্ত্তটা ঈশ্বরাবির্ভাবে পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল তাহার জীবনের সমগ্রভাব হৃদয়ঙ্গম করা সহজ নয় । পুরীতে অবস্থানকালে একদিন কোন বিষয় লইয়া দুইজন শিষ্যের মধ্যে খুব বাদানুবাদ হইতেছিল। একজন বলিতেছিলেন ;—“গোসাইজী এইরূপ বলিয়াছেন, খাতায় লিপিবদ্ধ আছে।” অপারে উহার প্রতিবাদ করিয়া বলিতেছিলেন, “ইহা কখনও হইতে পারে না, তিনি কখনও এরূপ বলেন নাই ।” পরে উক্ত বিষয় গোসাইজিীর কর্ণগোচর হইলে তিনি

  • শুনিয়াছি। এই সময় তাহার ব্যবহারের জন্য তিনখানি বস্ত্রখণ্ড । ব্যতীত আর কিছুই ছিল না ।