পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংস্কৃতকলেজে শিক্ষা । Ryk" থাকিবে। এই সময়ে কলিকাতার শিক্ষিতদের মধ্যে সুরার স্রোত যেরূপ অব্যাহত ভাবে প্রবাহিত ছিল, তাহাতে, শিক্ষিতদিগের সন্মিলন স্থান ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি ঐ রূপ দোষারোপ অদ্ভুত ব্যাপার নয়। * ব্ৰহ্মজ্ঞানীদের বিরুদ্ধে এইরূপ অভিযোগ শ্রবণাবধি মদ্য-মাংসের ঘোর-, বিরোধী বৈষ্ণব-সন্তান মহাত্মা বিজয়ক্ল ষ্ণের মনে যৈ, তাহদের প্রতি প্ৰতিকুল ভাবের সঞ্চার হইয়াছিল তা হাতে সন্দেহ নাই। এমন কি, তিনি ব্ৰাহ্মসমাজকে ঘুণা করিতেন । কিন্তু বগুড়ার তিনজন সাধু-চরিত্র ব্রাহ্মের বিশুদ্ধ-জীবন সেই ভ্রান্ত-ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করিল। ইনি তাহদের সাধুতায্য এতদূর মুগ্ধ হইলেন যে মতভেদ সত্ত্বেও তাঁহাদের সঙ্গে স্বীয় অবস্থার তুলন। করিয়া নিজকে অত্যন্ত, হীৰু মনে করিতে লাগিলেন। তাহাদিগকে স্পর্শ করিলেও ash হওয়া যায় তঁাহার মনে এই বিশ্বাস জন্মিল ; এবং তঁহাদের সরলাক, বিনয় এবং চরিত্রের মধুরতায় আকৃষ্ট হওযায় তাহদের সঙ্গে ইহার অকৃত্ৰিম বন্ধুতা স্থাপিত হইল । তাহাদের এইরূপ বন্ধুতা পরস্পরের প্রতি পরস্পরকে শ্রদ্ধাসম্পন্ন করিল, কিন্তু তাহাতে মতভেদ দূর কবিতে পারিল না। তাহারা ব্ৰাহ্ম আর ইনি পূর্বের ন্যায় বৈদান্তিকই রহিলেন । ব্ৰাহ্মগণ অবশেষে ইহাকে কলিকাতা গিয। ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসনায় যোগ দিতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করিয়া দিলেন । অভিপ্ৰায় এই ঃ—‘কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজে উপস্থিত হইলে প্ৰধান আচাৰ্য্য মহাষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয়ের প্রাণ-স্পর্শী উপাসনা ও জলন্ত উপদেশে এই সরল-বিশ্বাসী, পবিত্ৰ-চিত্ত যুবকের মন সহজে উদার ব্ৰাহ্মধন্মের দিকে আকৃষ্ট হইবে।” গোস্বামী মহাশয় বগুড়া হইতে কলিকাতা আসিলেন। এখানে তাহার কোন বন্ধুর দুশ্চেষ্টায় তিনি ঘোর ক্লেশে নিপতিত হন। এক