পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । সংযোগ চাইলে যে সমাধি হয় তাহাতেই ব্ৰহ্মলাভ হয়, ব্ৰহ্মরূপ। ফ্রিান্ন এরূপ সমাধি হয় না।” “ব্রহ্মের দুইটী ভাব, নিত্য ও লীলা। নিত্য সাধন গীতাতে এবং লীলা সাধন ভাগবতে ব্যক্ত হইয়াছে।” আমার পরিচালক—“আমার এখন গমনাগমন নিজের ইচ্ছাধীন নহে; পৌষ মাসে যদি পশ্চিমে যাওয়া হয় তবে তথা হইতে কোথায় যাইব কিছুই জানি না, এজন্য কোন বিষয়ে অভিপ্ৰায় প্রকাশ করিতে আমার ক্ষমতা নাই । সমস্ত কাৰ্য্যই ভগবানের ইচ্ছায় সম্পন্ন হয় ।” প্রার্থনা—“প্ৰভু, আমি গলায় পাথর বেঁধে সাগরে ডুবেছি, এখন আমার নিজের শক্তি নাই, তুমি উদ্ধার কর।” “তুমিই সব-হে প্ৰভু, কত যে তোমার করুণা ভুলিব না জীবনে” হে ঠাকুর তুমিই সব । সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ড তোমার রচনা, তোমার দয়ার পরিচয় । তুমি পিতা মাত ভাই ভগিনী। প্ৰভু তুমি দাতা, তুমি, রাজা প্ৰজা সাধ্বী স্ত্রী সকলই তুমি। চোর ডাকাত সাধু লম্পট সকলই তুমি । সমস্ত প্ৰশংসা, স্তব স্তুতি ভালবাসা সকলই তোমার । তুমি বাজীকর, কেবলই ভেলকি খেল। সার তুমি, বস্তু তুমি, প্রয়োজন তুমি। ইহলোক, স্বৰ্গলোক, যমলোক, সত্যলোক, জনলোক, তপোলোক, ব্ৰহ্মলোক, পিতৃলোক, মাতৃলোক, বৈকুণ্ঠ, গোলক, সকলই তুমি । আমি কিছু না, কিছু না, ছাই ভস্ম কিছুই না। তুমি আমার ঘরবাড়ী, তুমি আমার দর্পণ। মধুর তুমি, মধুর তুমি, মধুর তুমি । মধুরং মধুৱং মধুৱং মধুরং ।”