পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । দেবদেবী পূজা করা ও জ্বাতিভেদ স্বীকার প্রভৃতি যেরূপ পৌত্তলিকতা, ফলশ্যামান ও ইন্দ্ৰিয়গণের অধীনতাও সেইরূপ পৌত্তলিকতা। সম্পূর্ণরূপে এই উভয়বিধ পৌত্তলিকতা হইতে নিবৃত্ত হইয়া অদ্বিতীয় ঈশ্বরের উপাসক হইবে । যেরূপ ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া সম্বোধন করিবে: সেইরূপ প্ৰত্যেক মনুস্যকে ভ্ৰাত বলিয়া অকৃত্ৰিম প্রতি স্থাপন করিবে । এইরূপে জীবনকে মধুময় করতঃ ধৰ্ম্মের উন্নত সোপানে আরোহণ করিবে ।” ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত হইয়া তিনি পুনরায় বগুড়ায় গমন করেন তথাকার ব্ৰাহ্মগণ র্তাহাদের এই অকপট বন্ধুর, আশার অনুরূপ পরিবর্তন দেখিয়া এই পরিবর্তনের মূলে ঈশ্বরের গুঢ়-অভিপ্রায় নিহিত রহিয়াছে। মনে করিলেন । • ৰগুড়া হইতে কিছুদিন পরে তিনি পুনরায় কলিকাতায় প্রত্যাগমন করেন । এই সময় পথে তাহার জন্মস্থান শান্তিপুরের বাড়ীতে র্তাহ জীবনের আরও পরিবর্তনের সূচনা হইল । তিনি একদিন আলোচনা করুিতে করিতে বলিলেন—“পরমেশ্বর সমস্ত মনুস্যকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি সকলের পিতা মাতা ; এজন্য প্ৰত্যেক নর-নারীকে ভ্রাতা, ভগিনী বলিয়া বিশ্বাস করিতে হইবে সৰ্ব্বব্যাপী ঈশ্বর সকলেরই অন্তরে বাস করেন, তিনি কাহাকেও ঘূণা করেন না, সুতরাং মনুস্য মনুস্যকে ঘৃণা করিলে মহাপাপ হয়। অতএব জাতিভেদ স্বীকার করিলে ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া স্বীকার কর যায় না।” এইরূপ আলোচনা শুনিয়া একটা একাদশ বর্ষীয় বালিব র্তাহাকে বলিল—“যদি তুমি জাতিভেদ মান না, তবে পৈতা রাখিয়াছ কেন ?” বালকের উক্তিতে যেন তঁহার চেতনা জন্মিল ; এবং উপবীত ধারণ অসত্য ব্যবহার মনে করিয়া তৎক্ষণাৎ উহা পরিত্যাগ করিলেন