পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে তঁহার উৎসাহ ও অনুরাগের আভাস এই আটমাসের প্রচার বিবরণ হইতে কিয়ৎ পরিমাণ অনুমান করা যাইতে পারে। যখন বর্তমান সময়ের ন্যায় যাতায়াতের সুবিধা ছিল না, জল ও স্থলপথ নানাপ্রকার বিন্ন বিপদে পূর্ণ ছিল, সেই সময় প্রতিদিন আট দশ ক্রোশ পদব্ৰজে ভ্ৰমণ করিয়া রৌদ্র, বৃষ্টি, শীত, বাতের ক্লেশ উপেক্ষা করিয়া গ্রামে গ্রামে ধৰ্ম্মপ্রচার করা কিরূপ ক্লেশসাধ্য ব্যাপার ছিল, তাহ বর্তমান সময়ে সম্যক অনুভব করা কঠিন। প্রচারার্থে উৎসৃষ্টি-প্ৰাণ বিজয়কৃষ্ণ র্তাহার আরব্ধ। কাৰ্য্যে এইরূপে সমগ্ৰ-শক্তি প্ৰয়োগ করিয়াছিলেন । আর তিনি কোন কাৰ্য্যই আধখান । প্ৰাণ দিয়া করিতে পারিতেন না । ‘ঈশ্বরের প্রতি" নির্ভর করাই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের একমাত্র উপায় ; বস্তুতঃ তিনি এই একমাত্র উপায়টা অবলম্বন করিয়াই প্ৰাণ মন ঢালিয়া দিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । ব্ৰাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত-লেখক বলিয়াছেন-“প্রচারকের ব্ৰত গ্রহণ। করিয়া তিনি প্রচারকের অতি উচ্চতর দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছৈন। তঁহার অগ্নিময় উৎসাহ, পবিত্র জীবন, হৃদয়গ্ৰাহী বক্তৃতা-শক্তিতে অনেক লোকের মনকে পরিবর্তিত করিয়াছে। তাহাকে অনেক ত্যাগাস্বীকার করিতে হইয়াছিল । তিনি সংসারের সমুদায় উন্নতির আশা পরিত্যাগ করিয়া খুঁধৰ্ম্মপ্রচার কাৰ্য্যে জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন ।” আমরা বাগাত্মাচড়ার প্রাচীনদের মুখে শুনিয়াছি, তিনি তঁহাদিগকে ব্ৰাহ্মসমাজভুক্ত করিয়াই নিশ্চিন্ত ছিলেন না, তঁহাদের মধ্যে। জ্ঞান বিস্তারের জন্য স্কুল, ধৰ্ম্মশিক্ষা ও সাধনের জন্য ব্ৰাহ্মসমাজ এবং রাগাতুর নরনারীর চিকিৎসার জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন