পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ ԳՀ» ধৰ্ম্মে বিশ্বাস করিতেন। সকল শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য সেই একেশ্বরবাদ । সুতরাং প্ৰত্যেক ধৰ্ম্মাবলম্বীর নিকট, তাহার শাস্ত্ৰকে মান্য করিয়া, তাহা হইতেই ব্ৰহ্মতত্ত্বের উপদেশ দিতেন । বিশেষ বিশেষ ধৰ্ম্মাবলম্বীর নিকটে, শাস্ত্ৰনিরপেক্ষ যুক্তির অনুসরণ না করিয়া, শাস্ত্র ও যুক্তি এই উভয়কেই ধৰ্ম্মবিচারের ভিত্তি করিয়া লইতেন । ১৭৩৮ শকের ৩১শে আষাঢ়, যজুৰ্বেদীয় ঈশোপনিষৎ প্ৰকাশ করিলেন । ইহার অপর নাম বাজসনেয় সংহিতোপনিষৎ । বেদান্তসুত্রের ন্যায় তিনি ইহারও একটি ভূমিকা ও অনুষ্ঠান লিখিয়াছিলেন । উক্ত ভূমিকাতে তিনি শাস্ত্রীয় প্রমাণ ও যুক্তি সহকারে প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, ব্ৰহ্মাপাসনাই শ্রেষ্ঠ সাধন ও মুক্তির একমাত্র কারণ। তঁাহাব বিপক্ষগণকে লক্ষ্য কবিয়া বলিয়াছেন যে, এই সকল গ্ৰন্থ আদ্যোপান্ত পাঠ না করিয়া কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া উচিত নহে, এবং শাস্ত্ৰসিদ্ধ মতকে ব্যক্তিবিশেষের মত বলিয়া অগ্রাহ করাও অত্যন্ত অন্যায় । ঈশোপনিষদের ভূমিকায় রামমোহন রায় প্রথমতঃ বলিতেছেন যে, নিরাকার পরমেশ্বরের উপাসনা বেদান্তের বা উপনিষদের সিদ্ধান্ত । দ্বিতীয়তঃ, পুরাণ ও তন্ত্র, শাস্ত্ৰ কি না এবং তাহাতে যে সকল দেবদেবীর পূজার উপদেশ আছে, তাহা প্রামাণ্য কি না ? এই প্রশ্নের উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, পুরাণ তন্ত্রাদিও শাস্ত্ৰ ; কেননা তাহাতেও এক নিরাকার পরব্রহ্মের উপাসনার উপদেশ আছে । [ তিনি শাস্ত্রীয় প্ৰমাণ সহকারে প্রদর্শন করিতেছেন যে, পুরাণতন্ত্রাদি শাস্ত্রে, যে সকল \ দেবদেবীর পূজার কথা আছে, উহা অজ্ঞানী ব্যক্তির মনোরঞ্জনের জন্য ) যাহার। পরমাত্মার উপাসনা অসম্ভব মনে করেন, তাহদের মত খণ্ডন ? করিবার জন্য রামমোহন রায় বলিয়াছেন যে, পরমাত্মার উপাসনা অসম্ভব হইলে শাস্ত্রে উহার উপদেশ থাকিত না । শাস্ত্ৰে অসম্ভর