পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার S OV) আমরা কেমন করিয়া বলিব যে, সমগ্ৰ মানবজাতি প্ৰতিমা ভিন্ন পরমেশ্বরের উপাসনা করিতে অক্ষম ? শঙ্করশাস্ত্রী তাহার প্রতিবাদ পুস্তক ইংরেজী ভাষায় লিখিয়াছিলেন। রামমোহন রায় তাহার উত্তরও ইংরেজী ভাষায় দিয়াছিলেন । শঙ্করশাস্ত্রী আর কোন প্ৰত্যুত্তর দেন নাই । ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত বিচার ইহার পর, কলিকাতাব। একজন ভট্টাচাৰ্য্য, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, কলিকাতা গবৰ্ণমেণ্ট কলেজের একজন অধ্যাপক, রামমোহন রায়ের মত খণ্ডন করিবার জন্য ‘বেদান্তচন্দ্ৰিক” নামে পুস্তক প্রচার করিলেন । রামমোহন রায় ১৭৩৯ শকের ১৩ জ্যৈষ্ঠ ( ইং ১৮১৭ সাল ) উহার উত্তর প্ৰকাশ করেন। উভয় পক্ষের উত্তর-প্ৰত্যুত্তর, বাঙ্গালা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই হইয়াছিল। রামমোহন বায় তাহার প্রচারিত বিচারগ্রন্থে প্ৰতিপন্ন করেন যে, সমস্ত হিন্দুশাস্ত্রানুসারে ব্রহ্মোপাসনাই সার ও শ্রেষ্ঠ উপাসনা । ভট্টাচাৰ্য্য, তাহার গ্রন্থে, রাজা রামমোহন রায়ের প্রতি যে সকল বিদ্রুপ ও দুৰ্ব্বাক্য বর্ষণ করিয়াছিলেন, রাজা তাহার উত্তরে লিখিতেছেন, -“আমারদি~োর সম্বন্ধে যে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, দুর্বাক্য ভট্টাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন, তাহার উত্তর না দিবার কারণ আদৌ। এই যে, পরমার্থ বিষয়বিচারে অসাধু ভাষা এবং দুর্বাক্য কথন সৰ্ব্বথা অযুক্ত হয়; দ্বিতীয়তঃ আমারদিগের এমত রীতিও নহে যে, দুর্বাক্য কথন বলের দ্বারা লোকেতে জয়ী হই । অতএব, ভট্টাচাৰ্য্যের দুর্বাক্যের উত্তর প্রদানে আমরা অপরাধী রহিলাম।”