পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কহিয়াছেন, এমত নহে; যেহেতু দশোপনিষৎ বেদান্তের মধ্যে কৃষ্ণ বিষয়ে ছান্দোগ্য উপনিষদে এই মাত্ৰ কহেন। শ্রুতি। তদ্ধৈতদঘোর আঙ্গিরসঃ কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায়াক্তোবাচাপিপাস এবং স বভুব সোহন্তবেলায়া মেতত্ৰয়ং প্রতিপদ্যেতাক্ষিতমসি অচ্যুতমসি প্ৰাণসংশিতমসীতি। আঙ্গিরসের বংশজাত ঘোর নামে যে কোন এক ঋষি, তেঁহ দেবকীপুত্ৰ কৃষ্ণকে পুরুষ যজ্ঞ বিদ্যাব উপদেশ কবিয়া কহিয়াছেন যে, যে ব্যক্তি পুরুষযজ্ঞকে জানেন তেঁহ মরণ সময়ে এই তিন মস্ত্রের যপ কবিবেন । পরে কৃষ্ণ ঐ ঋষি হইতে বিদ্যা প্ৰাপ্ত হইয়া অন্য বিদ্যা হইতে নিঃস্বপূহ হইলেন। এই শ্রুতির অনুসাবে ভাগবতে লিখিয়াছেন । ১০ম স্কন্ধে । ৬৯। অধ্যায়ে নারদ কৃষ্ণকে এইরূপ দেখিতেছেন। কাপি সন্ধ্যামুপাসীনং জপন্তং ব্ৰহ্মবাগ্যতং । তথা ৷ ধ্যায়স্তমেকমাত্মানং । পুরুষং প্রকৃতে: পরং । ১৯ । কোথায় সন্ধ্যা করিতেছেন, কোন স্থানে মৌন হইয়া ব্ৰহ্মমন্ত্র জপ করিতেছেন, কোথায় বা প্ৰকৃতির পর যে ব্যাপক এক পরমাত্মা, তঁহার ধ্যান কবিতেছেন, এমত কপি কৃষ্ণকে নাবাদ দেখিলেন।” “বেদে সুৰ্য্য, বায়ু, অগ্নি প্রভৃতিকে বাহুল্যরূপে ব্ৰহ্ম বলিয়া বর্ণন করিয়াছেন। গোপালতাপনী গ্ৰন্থ অপেক্ষা কৈবল্যোপনিষৎ ও শতরুদ্রী প্রভৃতি গ্রন্থে শিবপ্রতিপাদক শ্রুতি বাহুল্যরূপে রহিয়াছে। মহাভারতেও কৃষ্ণমাহাত্ম্য বর্ণন অপেক্ষা শিবমাহাত্ম্য বর্ণন অধিক দেখা যাইতেছে। পুবাণ ও উপপুরাণাদিতেও কৃষ্ণমাহাত্ম্য অপেক্ষা শিব ও ভগবতীর বর্ণন অল্প হইবে না । “যদি বল যে, বেদে ও পুরাণে র্যাহাকে র্যাহাকে ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন, সকলেই সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম এবং তঁহাদের হস্তপদাদিও ঐরূপ আনন্দ নিৰ্ম্মিত, ইহার উত্তর এই যে, অবয়ববিশিষ্ট প্রত্যেকে ব্ৰহ্ম হইলে “একমেবাদ্বিতীয়ং , ব্ৰহ্ম”, “নেহ নানাস্তি কিঞ্চন” ইত্যাদি সমস্ত শ্রুতির সহিত বিরোধ