পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কবিতাকারের সহিত বিচার তৎপরে কবিতাকারের সহিত বিচার। “এই বিচারগ্রন্থে প্ৰতিবাদীর আপত্তি এই ছিল যে, রামমোহন রায় বেদার্থের গোপন করিয়াছেন ; তিনি শিব, বিষ্ণু ও ব্যাসাদি ঋষির অবমাননা করেন এবং ব্ৰহ্মজ্ঞানাভিমানী হয়েন। গ্রন্থকার শাস্ত্রীয় প্রমাণ ও নিজের পূর্বের উক্তি প্ৰদৰ্শনদ্বারা ঐ সকল আপত্তি খণ্ডন করিয়াছেন। শকাব্দ ১৭৪২ ; ( খ্ৰীঃ অঃ ; ১৮২০ সালে ) উক্ত গ্ৰন্থ প্ৰথম প্ৰকাশিত হয় ।” রাজা রামমোহন রায় কবিতাকারের সহিত বিচারপুস্তকে বলিয়াছেন যে, তাহার সমুদয় পুস্তকের তাৎপৰ্য্য এই যে, ইন্দ্ৰিয়ের গ্ৰাহ্য, নশ্বর ও নােমরূপ বিশিষ্ট পদার্থে ঈশ্বরজ্ঞান না করিয়া সৰ্ব্বব্যাপী পরমেশ্বরের শ্রবণমনন করিয়া কৃতাৰ্থ হওয়া উচিত । বৰ্ণাশ্রমাচার এরূপ সাধনের সহকারী বটে, কিন্তু নিতান্ত আবশ্যক নহে । রামমোহন রায় গ্ৰন্থপ্ৰকাশ করাতে মন্বন্তর ও মারীভয় হইতেছে কি না ? কবিতাকার লেখেন যে, রামমোহন রায়ের মত প্ৰকাশ হওয়াতে, দেশে অমঙ্গল, মারী ভয় ও মন্বন্তর হইতেছে । * রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে যাহা বলিতেছেন, তাহাব সারা মৰ্ম্ম এই ;-লোকের মঙ্গল কিম্বা

  • ভাগীরথীর প্রবাহ পরিবৰ্ত্তিত হওয়াতে ১৮১৭ সালে,কাসিমবাজার অঞ্চলে, মারীভয় উপস্থিত হইয়া উক্ত স্থান প্ৰায় জনশূন্য হইয়াছিল । উক্ত সময়ে যশোহরেও ওলাউঠা রোগে বহুলোকের মৃত্যু হয়। রামমোহন রায়ের গ্রন্থ ১৮১৫ সালে প্ৰকাশিত হয়। সেই জন্য কবিতাকারের মতে, রামমোহন রায়ের ব্ৰহ্মজ্ঞান সম্বন্ধীয় গ্ৰন্থই ঐ সকল মারীভায়ের কারণ ।