পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার SG, GC: বেদান্তসূত্র ও অন্যান্য শাস্ত্ৰ হইতে এ বিষয়ে আরও অনেক প্ৰমাণ উদ্ধৃত হইয়াছে। রাজা রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, চিন্ময়, সর্বব্যাপী, পরমেশ্বরে যে ব্যক্তি চিত্তস্থির করিতে পারে না, সে শাস্ত্ৰানুসারে প্রথমতঃ শব্দের দ্বারা, দ্বিতীয়তঃ অবয়বের কল্পনা দ্বারা এবং তৃতীয়তঃ প্ৰতিমার দ্বারা যথাক্রমে উপাসনা করিবে । উপাসনা তিন প্রকার ; উত্তম, মধ্যম, অধম। ব্রহ্মেপুসনা বা পরমাত্মার উপাসনা উত্তম। শব্দের দ্বারা পরমেশ্বরের উপাসনা মধ্যম, অর্থাৎ যে ব্যক্তি মনে মনে ব্রহ্মচিন্তা করিতে অক্ষম, তিনি “ওঁতৎসৎ” কিম্বা গায়িত্রী, কিম্বা নামজপ ইত্যাদি অবলম্বনে মনকে একাগ্ৰা করিতে চেষ্টা করিবেন । মনে মনে অবয়বের কল্পনা অধম । যেমন, মনে মনে শিব কি বিষ্ণুর রূপ ধ্যান করা। ঐ সকল কল্পিত অবয়বের জপন্তুতি তদপেক্ষাও নিকৃষ্ট । প্ৰতিমাপূজা অধম হইতেও অধম। ব্ৰহ্ম সাকার ও নিরাকার উভয়ই কি না ? ব্ৰহ্ম সাকার ও নিরাকার উভয়ই । এই কথার উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, ব্রহ্মের একই অবস্থা । তিনি অপরিবর্তনীয় এবং সর্বোপাধিশুন্য। ব্ৰহ্ম সাকার ও নিরাকার উভয়ই, একথা অশাস্ত্রীয় ও যুক্তিবিরুদ্ধ। ন স্থানতোপি পারস্যোভয়লিঙ্গং সর্বত্র হি । বেদান্তের ৩ অধ্যায়ে २ °८ ». » "श्डी । পরমেশ্বরের উভয় লিঙ্গ, অর্থাৎ সাকার ও নিরাকার বস্তু ত হইবার সম্ভাবনা নাই, ইত্যাদি । একই সময়ে পরমেশ্বরে আকারের ভাব ও অভাব অর্থাৎ আকার