পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কোন জীবের ক্ষুৰ্ত্তির আধিক্য হয় ; আর ইন্দ্ৰিয়াদির মলিনতা জন্য কোন কোন জীবের স্মৃত্ত্বির হানি হয়। জগৎ ভ্ৰান্তিমাত্ৰ, এ কথার অর্থ কি ? মায়া কি ? মায়ার অর্থ কি ? এ বিষয়ে রাজা বিশেষ করিয়া বলিতেছেন যে, মায়া মুখ্যরূপে পরমেশ্বরের জগৎকারণশক্তি। গৌণরূপে মায়া ঐ শক্তির কাৰ্য্য, অর্থাৎ জগৎ । এই জগৎ ভ্ৰান্তিমাত্র । এ কথার অর্থ কি? বেদান্তদর্শন দুটি দৃষ্টান্ত দিয়া জগৎকে ভ্ৰম বলিয়া বুঝাইতেছেন। প্রথম, রজ্জ্বতে সর্পভ্রম। দ্বিতীয়, স্বপ্ন। প্ৰথম দৃষ্টান্তের অর্থ এই যে, ভ্ৰমাত্মক সৰ্পের ন্যায়, জগতের স্বতন্ত্র সত্তা নাই । যেমন রজ্জ্ব ভিন্ন, ভ্ৰমাত্মক সৰ্পের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই ; ঐ সর্পভ্রম রজ্জ্বকে অবলম্বন করিয়াই সম্ভব হয়, সেইরূপ, পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিয়াই এই জগতেব সত্তার জ্ঞান সম্ভব হইতেছে । জগৎকে স্বপ্ন বলার তাৎপৰ্য্য কি ? স্বপ্নদৃষ্ট পদার্থ সকল, যেমন জীবেব সত্তাব অধীন, সেইরূপ, এই জগৎ পরমেশ্বরের সত্তার অধীন । জগৎ অসত্য, এ কথার অর্থ কি ? কেবল এক পরমেশ্বরেরই যথার্থ সত্তা, পারমার্থিক সত্তা। সকল পদার্থই তঁাহার সত্তায় সত্তাবান। ব্ৰহ্মাতিরিক্ত সত্তা সম্ভব নহে। স্বতবাং ব্রহ্মভিন্ন সকলই অসত্য । ন্যায়দৰ্শন পরমেশ্বরের ইচ্ছা নিত্য, তবে পৃথক পৃথক কালে কেমন করিয়া পদার্থ সকল উৎপন্ন হয় ? পাদ্রিসাহেব ন্যায়দর্শনের বিরুদ্ধে এই এক আপত্তি উপস্থিত করেন। যে, ন্যায়শাস্ত্রের মতে পরমেশ্বর নিত্য ইচ্ছাবিশিষ্ট । কিন্তু জগতের পদার্থ