পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত আপত্তি উপস্থিত করিলেন । তাহারা বলিতে লাগিলেন যে, দেশীয় ভাষায় যাহা কিছু বলা কা লেখা হইবে, তাহা লোকে ঘুণাব চক্ষে দেখিবে । ইংরেজী, পাবস্য, সংস্কৃত, এই তিন ভাষা ভিন্ন আর কোন ভাষায় লোকোব শ্রদ্ধা হইবে না। বামমোহন বায়ের সময় হইতে বর্তমান সময় পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালা ভাষার কি আশ্চৰ্য্য উন্নতি হইয়াছে, এবং তজন্য উহা শিক্ষিত ভদ্রলোকে বা শ্রদ্ধা কিকাপ আকর্ষণ কবি যাছে, তাহা এই ঘটনাটিব বিষয় আলোচনা কবিলে সুস্পষ্ট বুঝা যায়। বাজা রামমোহন বায়ই এই উন্নতির মূল । এই সময় অক্টোবব মাসে, আড্যাম সাহেব, বামমোহন বায়েব আংগ্লো-হিন্দু-স্কুল-গৃহে ধৰ্ম্মের মূলতত্ত্ব বিষয়ে সাময়িক বক্তৃত। কবিতে আবম্ভ কবেন । শ্রোতৃসংখ্যা প্ৰথমে ১২ হইতে ২৫ হইতেছিল। কিন্তু রামমোহন রায় নিজেই উপস্থিত হইতেন না । শেষে এমন হইল। যে, বক্তৃতা শুনাইবােব জন্য আড্যাম সাহেব একজনও শ্রোতা পাইলেন না । যাহাতে পুনর্বােব উন্নতিব দিকে গতি হয় তজ্জন্য আডাম সাহেব আতিশয় যত্ন কবিয়াছিলেন । ১৮২৭ সালেব ৩০ ডিসেম্বাব, তিনি ইউনিটেরিয়ান কমিটিব নিকট একটি প্ৰস্তাব উপস্থিত কবিয়া তাহাতে তঁহাদেব সম্মতি গ্ৰহণ কবিলেন । উক্ত প্ৰস্তাবটি তিনি পূর্ব বৎসব মে মাসে লিখিয়াছিলেন। প্ৰস্তাবটি এই যে, ইউনিটেবিয়ান কমিটি, British Indian Unitarian Association rifl 3& <f: f(r- ভাবে সভাবদ্ধ হইয়া ইংলণ্ড ও আমেরিকার ইউনিটেরিয়ানদিগেব। সঙ্গে বিশেষ সম্বন্ধে নিবদ্ধ হন । কিন্তু ইহা করিলে কি হইবে ? আড্যাম সাহেবের রবিবাসরিক উপাসক-মণ্ডলীর সভ্যসংখ্যা ক্রমশঃই হ্রাস হইতে লাগিল । আড্যাম