চারি প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ ३७७ রায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য শ্ৰীভাগবত ও অন্য শাস্ত্ৰ হইতে প্ৰমাণ ऐठेछुङ कब्रिटङ८छन ;- “যস্তাত্মবুদ্ধি: কুণপে ত্ৰিধাতুকে স্বাধী; কলাত্ৰাদিষু ভৌমইজ্যধীঃ । যত্তীৰ্থ বুদ্ধিশ্চ জলে ন কহিঁচিজনেঘভিজ্ঞেষু স এব। গোখরা; ॥” শ্ৰীভাগবতে, দশম স্কন্ধে । যে ব্যক্তির কফিপিত্তবায়ুময় শরীরে আত্মবুদ্ধি হয়, আর স্ত্রীপুত্ৰাদিতে আত্মভাব ও মৃত্তিকানিৰ্ম্মিত প্ৰতিমাদিতে পূজ্যবোধ, আর জলে তীর্থবোধ হয়, কিন্তু এ সকল জ্ঞান তত্ত্বজ্ঞানীতে হয় না ; সে গরুর মধ্যে গাধা, অর্থাৎ অতি মূঢ় । “অন্স দেবা মনুষ্যাণাং দিবি দেব মনীষিণাং । কাষ্ঠলোষ্ট্রেষু মুখ্যাণাং যুক্তস্যাত্মনি দেবতা ৷” আহিকতত্ত্বধৃত শাতাতপ বচন । জলেতে ঈশ্বর বোধ ইতর মানুষের হয়, আর গ্ৰহাদিতে ঈশ্বরবোধ দৈবজ্ঞানীরা করেন, আর কাষ্ঠলোষ্ট্রাদিতে ঈশ্বরবোধ মুখেরা করে, কিন্তু জ্ঞানীরা আত্মাতে ঈশ্বর বোধ করেন। পাপক্ষয় ও প্ৰায়শ্চিত্ত ‘ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী’ বলিতেছেন যে, কৰ্ম্মানুষ্ঠায়ীর কৰ্ম্মসাধনে কোন ত্রুটি হইলে, সে অসম্পূর্ণ ফললাভ করে, এবং শ্ৰীবিষ্ণুস্মরণদ্বারা তাহার দোষের ক্ষালন হয় ; কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞান সাধকের পক্ষে, সাধনে ত্রুটি হইলে তাহার জ্ঞানসাধনের অধিকার নষ্ট হইয়া যায়। এ কথায় রাজা বলিতেছেন যে, এরূপ বলিলে নিতান্তই পক্ষপাতিত্ব হয় । ব্ৰহ্মজ্ঞানসাধকদিগের পাপক্ষালন ও প্ৰায়শ্চিত্ত বিষয়ে, শাস্ত্রে কিরূপ বিধান আছে, রাজা, তাহা বিশেষ করিয়া প্ৰদৰ্শন করিতেছেন।
