পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারি প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ २89ी টীকারহিত ও কোন প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থকারের ধূত না হইলেও, যদি কেবল পুরাণ সংহিতা ও তন্ত্রাদি শাস্ত্রের নামোল্লেখ মাত্র কোন বচনের প্রামাণ্য হয়, তাহা হইলে তন্ত্ররত্নাকরের প্রমাণানুসারে গৌরাঙ্গ ও তৎসম্প্রদায়ের উচ্ছেদ হইতে পারে। রাজা রামমোহন রায় ‘তন্ত্ররত্নাকার’ হইতে অনেক শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন । এস্থলে তাহা উদ্ধৃত করা অনাবশ্যক । * উক্ত শ্লোকগুলির তাৎপৰ্য্য এই যে, বটুক ও ভৈরব ভগবান গণেশকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, ত্রিপুরাসুর হত হইলে পর, তাহার আসুরতেজ নষ্ট হইল, কি উহার নাশ হইল না ; হে গণনায়ক !! আমাকে তাহ বল। যেহেতু, তোমা ব্যতিরেকে এরূপ সর্বজ্ঞ আর নাই। তাহাতে ভগবান গণেশ বলিতেছেন যে, ত্রিপুরাসুর মহাদেবের দ্বারা নিহত হইয়া শিবধৰ্ম্ম নাশের নিমিত্ত তিনপুরের স্থানে গৌরাঙ্গ, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত এই তিন রূপে অবতীর্ণ হইল। পরে, নারীভাবে ভজনের উপদেশ দিয়া ব্যভিচারী, ব্যভিচারিণী ও বর্ণসঙ্করের দ্বারা পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করিয়া পুনরায় মহাদেবের কোপকে উদ্দীপ্ত করিল। আর তাহার সঙ্গী যে সকল অসুর ছিল, তাহারা মনুষ্যবেশ ধারণ করিয়া ঐ ত্রিপুরের তিন অবতারকে ভজনা করিল। ঐ সকলের মধ্যে কেহ কেহ মহাপাতকী, অতিপাতকী, উপপাতকী, অনুপাতকী ; আর কেহ কেহ সৰ্ব্বপাপযুক্ত ছিল। তাহারা বৈষ্ণববেশ ধারণ করিয়া অনেক সরলান্তঃকরণ লোককে মায়ারূপ অন্ধকারের দ্বারা মুগ্ধ করিয়াছে। সেই ত্ৰিপুবের প্রথম অংশকে সাক্ষাৎ বিষ্ণু, দ্বিতীয় অংশকে শেষস্বরূপ বলরাম, তৃতীয় অংশকে তাহারা মহাদেবরূপে বিখ্যাত করিল । ইত্যাদি, ইত্যাদি। শ্ৰীগৌরাঙ্গের অবতারত্বের পক্ষে ‘অনন্তসংহিতা’র বচন, এবং তদ্বিরুদ্ধে part sea ܫܒܚܫܝܚܚܝܦܚܡܡܒܡܗܝܡܡܫܡܫܡܫܫܫܗ Ar 14

  • রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলীর ৩০৬ পৃঃ দেখি ।