পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার R(łGł সদাচার ও সদ্ব্যবহার কাহাকে বলে ? আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে, রাজা রামমোহন রায়কে ‘ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী” সদাচার ও সদ্ব্যবহারহীন বলতে রাজা তাহার উত্তরে বলিয়াছিলেন যে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পরবিরুদ্ধ আচার ব্যবহার প্ৰচলিত। প্ৰত্যেক সম্প্রদায়, আপনাদের আচার ব্যবহারকেই সদাচার ও সদ্ব্যবহার বলিয়া জানেন ; কিন্তু এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের আচার ব্যবহারকে অসদাচার বলিয়া নিন্দ করেন । পরস্পর নিন্দ করিলেও, যে সম্প্রদায়ের যে আচার, তাহারা তাহাকেই সদাচার বলিয়া জ্ঞান করেন। তন্ত্রশাস্ত্ৰানুসারে র্যাঙ্গারা চলেন,তাহদের পক্ষে তাহাই সদাচার। ইত্যাদি। ‘ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষী’ ইহার উত্তরে বলেন যে, আমরা স্ব স্ব জাতীয় সদাচার ও সদ্ব্যবহাবিহীন ব্যক্তির কথা বলিয়াছি। রাজা ইহার উত্তরে যাহা ৰলিয়াছেন, তাহার সারমৰ্ম্ম এই ;-এক জাতির চারিজন বৰ্ত্তমান আছেন। তাহার মধ্যে এক ব্যক্তি গৌরাঙ্গ মতে বৈষ্ণব। দ্বিতীয় ব্যক্তি রামানুজ মতে বৈষ্ণব। তৃতীয় দক্ষিণাচাবি শাক্ত । চতুর্থ কৌল। প্ৰথম ব্যক্তি, গৌরাঙ্গামতের প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিদের যে আচার ব্যবহার, তাহা সদাচার ও সদ্ব্যবহার জ্ঞান করিয়া মৎস্য ও মাংস ভোজন ত্যাগ করিয়াছেন ; বলিদানে পাপ বোধ করেন, সর্বদা তুলসীকাষ্ঠের মালা ধারণ করেন, চৈতন্যচরিতামৃতান্দি পাঠ ও পঙ্গতে ভোজন করেন। তঁহার সম্প্রদায়ের ব্যক্তি সকল তাহাকে সদাচার ও সদ্ব্যবহারসম্পন্ন বলেন । কিন্তু অন্য তিন জন সে ব্যক্তির দোষোল্লেখ করেন কি না ? দ্বিতীয় ব্যক্তি রামানুজ ও তন্মতের প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিগণের আচার ব্যবহারকে সদাচার ও সদ্ব্যবহার বলিয়া বিশ্বাস করেন। তদনুসারে তিনি মৎস্য-মাংস ত্যাগ করিয়াছেন। ভোজনকালে, ক্ষৌরকালে ও