পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত سbه বাইশ প্রকার শ্রুতি ও আঠার প্রকার জাতি বিষয়ে র্যাহারা প্ৰবীণ, এবং তালজ্ঞ, তঁাহারা অনায়াসে মুক্তি প্ৰাপ্ত হন। ‘সংস্কৃতৈঃ প্ৰাকৃতৈর্বাক্যৈর্য্যিঃ শিষ্যমানুরূপত: । দেশভাষাদুপায়ৈশ্চ বোধয়েৎ সগুরুঃ স্মৃত: ||” স্মাৰ্ত্তধৃত শিবধৰ্ম্মের, বচন । শিষ্যের বোধগম্যানুসারে সংস্কৃত কিম্বা প্ৰাকৃত বাক্যের দ্বারা অথবা দেশভাষাদি উপায়ের দ্বারা যিনি উপদেশ করেন, তাহাকে গুরু কহা যায় । মনুর মতে ব্ৰহ্মসাধনের প্রথম উপায় ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ। দ্বিতীয় উপায় প্ৰণবাদি বেদাভ্যাস । যাজ্ঞবল্ক্য সাধকদিগের অধিকার আরও প্ৰশস্ত করিয়া দিলেন । সংস্কৃত প্ৰণবাদির পরিবর্তে দেশভাষায় গান ও উপদেশাদি চলিবে, ইহাই ব্যবস্থা করিলেন । সুতরাং রাজা রামমোহন রায়ের প্ৰতিষ্ঠিত ব্ৰাহ্মসমাজে শাস্ত্ৰানুসারে, উপনিষদ পাঠাদি ও প্ৰচলিত ভাষায় উপাসনা, এ দুয়েরই স্থান রহিল। রাজা ‘প্রার্থনাপত্ৰে” হিন্দু ব্ৰহ্মোপাসক এবং একেশ্বরবাদী খ্ৰীষ্টিয়ানের মধ্যে এই প্ৰভেদ প্ৰদৰ্শন করিতেছেন যে, হিন্দু ব্ৰহ্মোপাসক বেদাদি শাস্ত্ৰ মানেন, আর একেশ্বরবাদী খ্ৰীষ্টিয়ান, খ্ৰীষ্টকে পরমেশ্বরের প্রেরিত ও আপনাদের আচাৰ্য্য বলেন । রাজার মতে, এ প্ৰভেদ গুরুতর নহে । উপাস্যের ঐক্য ও অনুষ্ঠানের ঐক্যই প্ৰধান । সে বিষয়ে যখন কোন ভিন্নতা নাই, তখন উপাসকদিগের মধ্যে আত্মীয়তা থাকা কৰ্ত্তব্য । ভারতবর্ষীয় রামায়ৎ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন বহুলোক আছেন, র্যাহারা রামাদি অবতার স্বীকার করেন । তাহাদিগকে ঈশ্বরজ্ঞানে ধ্যান করেন, নানা অবতারের ঐক্য দর্শন করেন, কিন্তু কোন বাহ প্ৰতিমা নিৰ্ম্মাণ করেন না। সেইরূপ, খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের মধ্যে, র্যাহারা পরমেশ্বরের ত্ৰিত্ব ও খ্ৰীষ্টের অবতারত্বে বিশ্বাস করেন, অথচ কোনরূপ প্ৰতিমূৰ্ত্তি