পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পারে ? তিনি স্বীয় বুদ্ধিবলে ও ধৰ্ম্মের অনুরাগে বিষয়ী লোকদিগকে আপনার পথে আকর্ষণ করিয়াছিলেন । যখন প্ৰথম তিনি কলিকাতা নগরে আইলেন, তখন লোকেরা তাহাকে ধৰ্ম্মচু্যত, ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট, নরকে পতিত বলিয়া তিরস্কার করিত ; তঁহার মুখদর্শন করিতে নাই, নাম উচ্চারণ করিতে নাই ; এই প্ৰকার বাক্য সকল তাহার প্রতি প্ৰয়োগ করিত। তার কি এমন বল ছিল যে, সেই বলে লোকের হৃদয় ও মন আকর্ষণ করিলেন ? কিন্তু দেখা যাইতেছে যে, সে সময়কার কলিকাতার ক্ষমতাপন্ন অনেক বড়মানুষ তাহার সহচর ছিলেন । তাব সঙ্গে বিষয়ীদিগের কিসের সম্বন্ধ ছিল? আপনাব ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তিদ্বারা তিনি তো সকলকে বশীভূত করিতেনই, তদ্ব্যতীত, তিনি নানা প্রকারে বিষয়ীদিগের বিষয়ের উন্নতি করিয়া দিতেন এবং বিষয়ীরা বিনিময়ে কৃতজ্ঞ হইয়া তাহার ধৰ্ম্ম প্রচার কাৰ্য্যে সাহায্য করিতেন । ধৰ্ম্মেব উন্নতি তাহদের লক্ষ্য ছিল না, কিন্তু তাহার সদ্ভাব দেখিয়া তাহারা বশীভূত হইতেন, এবং প্রত্যুপকার বলিযা বামমোহন বায়েদ ধৰ্ম্ম প্রচাবে সাহায্য করিতেন । * * * একদিন বামমোহন রায় বলিলেন যে, ভাল ভাল গায়ক সকল সংগ্ৰহ করিয়া মধ্যে মধ্যে ব্ৰাহ্মসমাজে সঙ্গীত দিলে ভাল হয়, অমনি গুণী গায়ক সকল সেখানে একত্রিত হইল এবং নানাভাবে বা সঙ্গীত চলিল । রামমোহন রাষ্য বলিলেন, “ও সব কেন ? “ অলিখনি বগুঞ্জন” গা ও” । তখন ব্ৰহ্মসঙ্গীত হইতে লাগিল । তাহার সঙ্গীদিগের মধ্যে একটুকুও তখন কাহারও বুঝা হয় নাই যে, ব্ৰাহ্মসমাজে সঙ্গীত গাইতে বলিলে ঈশ্বরের সঙ্গীত গাইতে হইবে। ১৭৫১ শকে ব্ৰাহ্মসমাজ এখানে উঠিয়া আইল, সেই শকে সতীদগ্ধ হওয়া ও নিবারিত হইল, এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী ধৰ্ম্মসভাও স্থাপিত হইল। রাজা রাধাকান্ত দেব সেই সভার সভাপতি ছিলেন। তখন সমাজেব প্ৰতি অনেকেই নিন্দাবাদ করিতেন । কেহ বলিতেন, তথায়