পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মধ্যে উক্ত বৎসরে, ব্ৰাহ্মণ জাতিতে ২৩৪, ক্ষত্ৰিয় জাতিতে ৩৫, বৈশ্যজাতিতে ১৪, শূদ্ৰজাতিতে ২৯২ ; এবং সৰ্ব্বশুদ্ধ ৫৭৫ জন বিধবা সহমৃতা হইয়াছিল। এই ৫৭৫ জনের মধ্যে ৩৪০ জন কলিকাতা কোর্ট অব সারকিটের সীমার মধ্যে সহমৃতা হইয়াছিল। ইহাতেই বোধ হইতেছে যে, উক্ত সীমার মধ্যে সহমরণের যে সংখ্যা দেওযা হইয়াছে, তাহাই অনেক পরিমাণে ঠিক। দূরবত্তী স্থানের যে সংখ্যা দেওয়া হইয়াছে, তাহা বাস্তব সংখ্যা অপেক্ষা অনেক কম। এতদ্ভিন্ন, এই বিজ্ঞাপনীতে কেবল বাঙ্গাল প্রেসিডেন্সির সহমৃতার সংখ্যা দেওয়া হইয়াছে, অন্যান্য প্রেসিডেন্সির বিষয় নাই , থাকিলে জানা যাইত যে, সমুদয় দেশে এক বর্ষাকাল মধ্যে কত অধিকসংখ্যক বিধবা নারী পত্যনুগমন করিত । উক্ত বিজ্ঞাপনীতে সহমৃতাদিগের বয়ঃক্রম দেওয়া হইয়াছে । ১৮২৩ সালে ৫৭৫ জনেব মধ্যে ১০, ৯ জন ষাট বৎসরের অধিক বয়স্ক ৷৷ ২২৬ জন চল্লিশ হইতে ষাট পৰ্য্যন্ত ; ২০৮ জন কুড়ি হইতে চল্লিশ পৰ্য্যন্ত, এবং ৩২ জনের বিংশতি বৎসরেরও অল্প বয়স। দেখা যাইতেছে যে, সতীদাহ প্রথারূপ দুরাচার রাক্ষসীর গ্রাস হইতে যুবতী কি বুদ্ধা কাহারও নিস্তার ছিল না । রাজা রামমোহন রায়ের বন্ধু আড্যাম সাহেব তঁাহার বিলাতের এক বক্তৃতায় বলিয়াছেন যে, “আমি নিশ্চয় করিয়া বলিতেছি যে, ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশে ইংরাজের রাজ্য সংস্থাপন অবধি, গবৰ্ণমেণ্ট ও তাহার কৰ্ম্মচারীদিগের চক্ষুর সম্মুখে, প্ৰতিদিন অন্ততঃ এইরূপ দুইটি হত্যাকাণ্ড সুস্পষ্ট দিবালোকে সংঘটিত হইত, এবং প্ৰতিবৎসর অন্ততঃ ৫/৬ শত অনাথ রমণীকে এই রূপে নিহত করা হইত ।” যে সময়ে এই তালিকা সংগৃহীত হইয়াছিল, সে সময়ে কলিকাতা বিভাগে বৰ্দ্ধমান, হুগলী, যশোহর, জঙ্গল মহল, মেদিনীপুর, নৌগং,