পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত করেন ।” অত্যাচারী বাদসহ আরঙ্গজেবের রাজত্বকালে এই ঘটনা। ংঘটিত হইয়াছিল। তাহার প্রপিতামহের নাম কৃষ্ণচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি নবাব-সবকারে কার্য্য করিয়া “রায়” উপাধি প্ৰাপ্ত হন । * মুরশিদাবাদ জিলার অন্তঃপাতি শাকাস গ্রামে ইহার আদি নিবাস ছিল। ইনি তীক্ষাবুদ্ধিসম্পন্ন লোক ছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্রই শাকাস গ্রাম পরিত্যাগপূর্বক রাধানগরে বাস করেন । বাসস্থান পরিবর্তনের কারণ এইরূপ কথিত আছে।--নবাব তাহাকে খানাকুল কৃষ্ণনগরের চৌধুরী মহাশয়দিগের জমিদারীর বন্দোবস্ত করিয়া দিবার জন্য তথায় প্রেরণ করেন । লোকে তাহাকে শিকদার বলিত। অদ্যাবধি তথায় শিকদারপুকুর নামে একটি পুষ্করিণী আছে। স্থান মনোনীত হওয়াতে “পরম বৈষ্ণব কৃষ্ণচন্দ্ৰ এই স্থানে সুবিখ্যাত অভিরামগোস্বামী-প্ৰতিষ্ঠিত বিগ্ৰহ গোপীনাথের শ্ৰীপাট সন্নিকট, রাধানগর নামক গ্রামে বাসস্থাপন করেন।” কৃষ্ণচন্দ্রের তিন পুত্র। জ্যেষ্ঠের নাম অমরচন্দ্ৰ, মধ্যম হরিপ্রসাদ, কনিষ্ঠ ব্ৰজবিনোদ। ব্ৰজবিনোদ রায় সম্পত্তিশালী, দেবভক্ত এবং পরোপকারী ছিলেন। ব্ৰজবিনোদ নবাব সিরাজুদ্দৌলার অধীনে মুরশিদাবাদে কোন সম্রান্ত পদে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাহার প্রতি কোন অন্যায় ব্যবহার হওয়াতে তিনি কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া, গৃহে আসিয়া অবশিষ্ট জীবন ক্ষেপণ করেন। রাজা রামমোহন রায়ের পিতৃকুল বৈষ্ণব এবং মাতামহকুল শাক্ত মতাবলম্বী। এই বৈষ্ণব ও শাক্ত বংশের পরস্পর কুটুম্বিত সংঘটন সম্বন্ধে * একটি গল্প আছে । গল্পটি এই :-ব্ৰজবিনোদ রায় অন্তিমকালে গঙ্গাতীরস্থ হইলে, শ্ৰীরামপুরের নিকটবৰ্ত্তী চাতরা নিবাসী শুল্কাম ভট্টাচাৰ্য্য ভিক্ষার্থী ---as

  • লিওনাড সাহেব ব্ৰাহ্মসমাজের ইতিহাস পুস্তকে লিখিয়াছেন যে, চৈতন্যের শিষ্য নরোত্তম ঠাকুর রামমোহন বায়ের পূর্বপুরুষ । আমরা অনুসন্ধানদ্বারা জানিয়াছি যে, अकथन cकान मूला नाश् ।