जभांख्कि डान्लांक्लन \OV) হস্তে একজন সিপাহীকে চিন্তার অতি নিকটে দণ্ডায়মান রাখিয়াছিলেন। সতী যখন চিতা হইতে পলাইবার চেষ্টা করিল, নিকটস্থ সিপাহী তখন আপন প্রভুর আজ্ঞা ভুলিয়া গিয়া চিরাভ্যস্ত সংস্কারবশতঃ সতীকে তলবারদ্বারা আঘাত করিতে উদ্যুত হইল । সতী ভয়ে ऎ°ऎ श्शेम्ना পুনর্বার চিতার মধ্যে প্ৰবেশ করিল। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব সিপাহীর প্রতি বিরক্ত হইয়া তাহাকে সে স্থান হইতে তফাৎ করিয়া কয়েদ করিয়া রাখিলেন । সতী আবার অল্পক্ষিণ পরেই যন্ত্রণা অসহ্যু হওয়াতে গঙ্গার জলে ঝাম্প দিয়া পড়িল । মৃত ব্যক্তির ভ্রাতারা, আত্মীয়স্বজন ও অপরাপর সকলে এই বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল যে, উহাকে বলপূর্বক চিতায় আনিয়া দগ্ধ করা যাউক । নিশ্চয় তাহ করা হইত। সতীও তাহাদের কথায় বাধ্য হইয়া পুনর্বার চিতায় আসিতে সম্মত হইয়াছিল। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের জন্য তাহ হইল না । তিনি সতীকে তৎক্ষণাৎ পান্ধী করিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করিলেন । ফ্যানি পার্কস, কলিকাতার সন্নিহিত স্থান সকলেও এই প্রকার সতীদাহের বৃত্তান্ত বৰ্ণনা করিয়াছেন। উপরে যাহা উদ্ধত হইল, তাহাতে ইহাই প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, সহমরণ প্ৰথা প্ৰচলিত থাকাতে অবলা রমণীগণকে কুসংস্কারের তীষণ মন্দিরে বলিদান দেওয়া হইত। আমরা প্রাচীনন্দিগের সহিত সতীদাহ বিষয়ে আলাপ করিয়া ইহাই শুনিয়াছি যে, সতীর শোকে অধীর হইয়া প্ৰথমে বলিত যে, তাহারা সহমৃতা তইবে ; কিন্তু সঙ্কল্পের পর আর ফিরিবার উপায় ছিল না ; ফিরিলে পরিবারের দুরপনেয় কলঙ্ক ; সুতরাং সঙ্কল্পের পর মতপরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখিলে অথবা মত পরিবর্তন হইলে বিলক্ষণরূপেই তাহার স্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ করা হইত। . সতীদাহের আনুষঙ্গিক অত্যাচার সকল নিবারণ করিবার জন্য নিজামত আদালত যে সকল নিয়ম প্রচার করেন, তাহ রহিত করিবার 22
