পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांभांख्कि डान्लांब्लन VOC S যাহার দ্বারা স্ত্রীলোকের কোন এরূপ অপরাধ কদাচিৎ হইলে সর্বত্ৰ বিখ্যাত অনায়াসেই কবেন, অথচ পুরুষে স্ত্রীলোককে প্রতারণা করিলে তাহা দোষেব মধ্যে গণনা করেন না । স্ত্রীলোকের এই এক দোষ আমরা স্বীকার করি, যে আপনাদের ন্যায় অন্যকে সরল জ্ঞান করিয়া হঠাৎ বিশ্বাস কবে, যাহারদ্বারা অনেকেই ক্লেশ পায়, এপৰ্য্যন্ত, যে কেহ কেহ। প্ৰত্যারিত হইয়া অগ্নিতে দগ্ধ হয় ।” ‘চতুর্থ, যে সানুরাগী কহিলেন, তাহা উভয়ের বিবাহ গণনাতেই ব্যক্তি আছে, অর্থাৎ এক এক পুরুষের প্রায় দুই তিন দশ বরঞ্চ অধিক পত্নী দেখিতেছি ; আবে স্ত্রীলোকের এক পতি, সে ব্যক্তি মরিলে কেহ। শতাবৎ সুখ পবিত্যাগ করিয়া সঙ্গে মরিতে বাসনা করে, কেহ বা যাবজীবন অতি কষ্ট যে ব্ৰহ্মচৰ্য্য তাহার অনুষ্ঠান করে ।” “পঞ্চম, তাহদের ধৰ্ম্মভয় অল্প । এ অতি অধৰ্ম্মের কথা, দেখি, কি পৰ্য্যন্ত দুঃখ, অপমান, তিরস্কার, যাতনা, তাহারা কেবল ধৰ্ম্মভয়ে সহিষ্ণুতা কবে । অনেক কুলীন ব্রাহ্মণ, র্যাহারা দশ পািনর বিবাহ অর্থের নিমিত্তে কবেন, তাহদের প্রায় বিবাহের পর অনেকের সহিত সাক্ষাৎ হয় না, অথবা যাবজীবনের মধ্যে কাহারে সহিত দুই চারিবাব সাক্ষাৎ করেন ; তথাপি ঐ সকল স্ত্রীলোকের মধ্যে অনেকেই ধৰ্ম্মভয়ে স্বামীর সহিত সাক্ষাৎ ব্যতিরেকেও এবং স্বামীদ্বারা কোন উপকার বিনাও পিতৃগৃহে অথবা ভ্রাতৃগৃহে কেবল পরাধীন হইয়া নানা দুঃখ সহিষ্ণুতাপূর্বক থাকিয়াও যাবজীবন ধৰ্ম্মনির্বাহ করেন ; আর ব্ৰাহ্মণের অথবা অন্য বর্ণের মধ্যে র্যাহারা আপন আপনি স্ত্রীকে লইয়া গাৰ্হস্থ্য করেন, তাহদেব বাটীতে প্ৰায় স্ত্রীলোক কি কি দুৰ্গতি না পায় ? বিবাহের সময়ে স্ত্রীকে আৰ্দ্ধ অঙ্গ করিয়া স্বীকার করেন, কিন্তু ব্যবহারের সময়ে পশু হইতে নীচ জানিয়া ব্যবহার করেন ; যেহেতু, স্বামীর গৃহে প্ৰায় সকলের পত্নী দাস্যবৃত্তি করে,