পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিবারিক ঘটনা এবং বিলাতগমনের উদ্যোগ। ৪২৩ সহধৰ্ম্মিণীর চিতার উপরে দাম্পত্য প্ৰণয়ের নিদর্শন স্বরূপ একটি স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । বিলাতগমনের সঙ্কল্প রাজা রামমোহন রায় বহুদিন হইতে বিলাত গমনের ইচ্ছা করিতে ছিলেন ; কিন্তু জন্মভূমির মঙ্গলের জন্য তিনি যে সকল মহদানুষ্ঠানের সুচনা করিয়াছিলেন, পাছে সে সকলের কোন অনিষ্ট হয়, সেই জন্য হঠাৎ স্বদেশ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। উপক্ৰমণিকায় প্ৰকাশিত পত্রে তিনি স্বয়ং বলিতেছেন ;-“এই সময়ে ইয়োরোপ দেখিতে আমার বলবতী ইচ্ছা জন্মিল। তত্ৰত্য আচার ব্যবহার, ধৰ্ম্ম ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্বন্ধে অধিকতর জ্ঞান লাভ করিবার জন্য স্বচক্ষে সকল দেখিতে বাসনা করিলাম। যাহা হউক, যে পৰ্য্যন্ত না আমার মতাবলম্বী বন্ধুগণের দলবল বৃদ্ধি হয়, সে পৰ্য্যন্ত আমার অভিপ্ৰায় কাৰ্য্যে পরিণত করিতে ক্ষান্ত থাকিলাম।” ক্ৰমে অবস্থা অনুকুল হইয়া আসিল । তিনি বিলাতযাত্রার জন্য প্ৰস্তুত হইতে লাগিলেন। রামমোহন রায় বিলাত যাইবেন বলিয়া দেশের সর্বত্র ঘোরতর আন্দোলন উপস্থিত হইল। ইহার পূর্বে কখন কোন হিন্দুসন্তান অর্ণবযানারোহণে স্লেচ্ছদেশে যাত্রা করেন নাই। কুসংস্কারান্ধ দেশবাসিগণ অবাক হইলেন । ঘূণা, বিদ্বেষ, ও আশ্চৰ্য্য, এই সকল ভাব পৰ্য্যায়ক্রমে লোকের হৃদয়কে অধিকার করিতে লাগিল ; আবাল-বৃদ্ধবনিতা সকলের মুখে এই এক কথা, “রামমোহন রায় বিলাত যাইবে ।” তাহার বিলাতগমনের কারণ র্তাহার বিলাতগমনের কারণ তিনি নিজে এইরূপ বলিতেছেন ;- “পরিশেষে আমার আশা পূর্ণ হইল। ইষ্ট ইণ্ডিয়া ८क*ांनौद्र नृऊन