পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত এই সময় ১৮৩০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘জন বুল” পত্রে কোন ব্যক্তি লিখিয়াছিলেন যে, রামমোহন রায় ও মার্টিন সাহেব স্থির করিয়াছিলেন যে, ১৮২৯ সালের সেপ্টেম্বব মাসের প্রথমে তাহারা ইয়োরোপ যাত্ৰা কবিবেন। এক মাস পরে, তাহারা স্থির করিলেন যে, এলাহাবাদ হইয়া তাহারা ইংলণ্ড যাত্ৰা করিবেন । কিন্তু তিন মাস পৰ্য্যন্ত ইংলণ্ড যাত্রার জন্য প্ৰতিদিন অপেক্ষা করিতে হইল। এই সময়ের মধ্যেই সতীদাহ নিবারণের জন্য গবৰ্ণমেণ্টের আদেশ প্ৰচারিত হইল। রামমােহন রায় গবর্ণর জেনেরালের কাৰ্য্যের পক্ষ সমর্থন করিতে অতিশয় ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন । ১৮৩০ সালের ৮ই জানুয়ারি, রামমোহন বায় গবর্ণব জেনেরল লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ককে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহার সারমৰ্ম্ম এই ;-- আমি জ্ঞাত হইয়াছি যে, কয়েক মাস। গত হইল, দিল্লীব বাদাসা মহম্মদ আকবর বাদাসা, গবর্ণব জেনেরলকে অবগত করিয়াছেন যে, তিনি আমাকে গ্রেটু,বৃটেনেব রাজ-সভায় দূতরূপে প্রেবণ করিবার জন্য নিযুক্ত করিয়াছেন ; এবং তাহার। ভূত্য বলিয়া উক্ত পদের সম্মানের জন্য আমাকে ‘রাজা” উপাধি প্ৰদান করিয়াছেন । উপাধিজনিত সম্মান লাভে ব্যাকুল নাহি বলিয়া, আমি এ পৰ্য্যন্ত বাদাসা কর্তৃক প্ৰদত্ত উক্ত जन्मान &iश्gी दि ड्रड छिलाभ । যাহা হউক, এ বিষয়ে দিল্লীর বাদসার অভিপ্ৰায় এই যে, আমি ইয়োরোপে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাপন্ন মহারাজার সভায়, তাহার প্রতিনিধি বলিয়া, তাহদের বাজবংশের গৌরব রক্ষার জন্য এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সহিত তাহার বিষয় সংক্রান্ত ব্যাপারের মীমাংসার জন্য, কৰ্ম্মচারী বলিয়া এরূপ উপাধি গ্রহণ একান্ত আবশ্যক। বাদাসা। তজ্জন্য আমাকে উক্ত উপাধি প্ৰদান করিবার জন্য একটি মোহর দিল্লীতে