পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংলণ্ডযাত্রা ও ইংলণ্ড-বাস 88ዓ লিভারপুলে বড় লোকদিগের বৈঠকখানায় ও প্ৰকাশ্য স্থান সকলে, রামমোহন রায়কে দেখিয়া সকলে অত্যন্ত চমৎকৃত হইয়াছিলেন । এক জন ব্ৰাহ্মণ রিফরম বিলের পক্ষপাতী হইয়া কথা কহিতেছেন, সামাজিক ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় স্বাধীনতার পক্ষসমর্থন করিতেছেন দেখিয়া লিভারপুলবাসিগণ বড়ই আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন। বিশেষতঃ, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় বিচার উপস্থিত হইলে, খ্ৰীষ্টীয় শাস্ত্ৰ সম্বন্ধে তঁহাদের অপেক্ষ রামমোহন রায়ের অধিকতর পাণ্ডিত্য দর্শন করিয়া তাহারা অবাক হইয়াছিলেন । লিভারপুলে দুইটি কোয়েকার পরিবার ( একটির নাম ক্রপার, আর একটির নাম বেনসন) রামমোহনের প্রতি আতিশয় আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। র্তাহারা বিভিন্ন প্ৰকার ধৰ্ম্মমতাবলম্বী ব্যক্তিগণের সহিত, রামমোহনের সামাজিক সম্মিলন সংঘটিত করিতে লাগিলেন । কোয়েকারদিগের দ্বারা একটি সম্মিলনে হাইচির্চের লোক, ব্যাপটিষ্ট, ইউনিটেরিয়ান, একেশ্বরবাদী (Delists) সকলে সদ্ভাবে ও প্ৰেমে বামমোহন রায়ের সহিত সম্মিলিত হইয়াছিলেন । রাজনীতি ও ধৰ্ম্মতত্ত্ব, রামমোহন রায়ের কথোপকথনের প্রধান বিষয় ছিল । র্যাথবোন সাহেবেব বাটীতে রামমােহন রায়ের প্রকৃত ধৰ্ম্মবিশ্বাস নিৰ্দ্ধাবণ করিবার চেষ্টা হইয়াছিল, दिक खु उंश नफ्ल श् नाशे । লিভারপুল হইতে লণ্ডন এপ্ৰেল মাসের শেষে লিভারপুল হইতে লণ্ডন যাইবার সময়ে রামমোহন রায় রেলওয়ের উভয় গার্শ্বে ইংলণ্ডেব ধন, সভ্যতা ও ক্ষমতার নিদর্শন সকল প্ৰত্যক্ষ করিয়া আশ্চৰ্য্য হইতে লাগিলেন । সুন্দব হৰ্ম্ম্যানিচয়, পুষ্পোদ্যানসমন্বিত কুটীবরাজী,চতুদিক ব্যাপী রেলরোড,অশেষহিতকারী কৃত্রিম নদী ও মনোহর সেতু সকল তঁহার নয়ন-মন আকর্ষণ করিতে লাগিল। যে দিকে তিনি দৃষ্টিপাত করেন, সর্বত্র পরিশ্রম,