রাজা রামমোহন রায়ের সর্বাঙ্গীন মহত্ত্ব 9&S তাহার নিজের কথাতেই তাহাকে ঠকাইতেন ;-তাহার তর্কচাতুৰ্য্যে, র্তাহার প্রতিবাদী, তাহার। আপনার ফঁাদে আপনি পড়িতেন। এক দিবস প্ৰাতঃকালে রামমোহন রায় তাহাব মাণিকতলার ভবনে মুখপ্ৰক্ষালন করিতেছেন, এমন সময় কয়েকজন অধ্যাপক ভট্টাচাৰ্য্য তঁাহার সহিত শাস্ত্রীয় বিচার করিবার জন্য উপস্থিত হইলেন । রামমোহন রায় তঁহাদিগকে সাদর অভ্যর্থনা পূর্বক বসাইয়া মুখ ধৌত করিতে লাগিলেন। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দিগের মধ্যে একজন দেখিলেন যে, রামমোহন রায় পূর্ব দিবসের ব্যবহৃত দন্তকাষ্ঠে দন্ত মার্জন করিতে আরম্ভ করিলেন। এই অনাচার দেখিয়া বিরক্ত হইয়া তিনি রামমোহন রায়কে আক্রমণ করিলেন । বলিলেন, “মহাশয় ! এ আপনার কেমন ব্যবহার ?” রামমোহন রায় সে কথার বিশেষ কোন উত্তর করিলেন না। মুখপ্ৰক্ষালন করিয়া তিনি অধ্যাপক মহাশয়দিগের সহিত ব্ৰহ্মজ্ঞান বিষয়ক বিচারে প্ৰবৃত্ত হইলেন। বিচার করিতে করিতে উপস্থিত ভদ্রলোকদিগকে তামাক দিবার জন্য ভৃত্যকে আদেশ করিলেন। ভূত্য তামাক দিলে পর, রামমোহন রায় ভৃত্যকে বলিলেন, একটা ভাল করিয়া নল প্ৰস্তুত করিয়া দাও । যে ভট্টাচাৰ্য্যটী পূর্বদিনের উচ্ছিষ্ট দন্তকাষ্ঠে দন্তমাৰ্জন জন্য রামমোহন রায়কে আক্ৰমণ করিয়াছিলেন, তিনি উক্ত নলসংযোগে ধূমপান করিতে লাগিলেন। ঘোরতর তর্কযুদ্ধ চলিতে লাগিল। অনেকক্ষণের পর, রামমোহন বায় তামাক দিবার জন্য পুনর্বার ভৃত্যকে আজ্ঞা করিলেন। সেই ভট্টাচাৰ্য্যটি পুনর্বাের নলসংযোগে তাম্রকুট সেবন আরম্ভ করিলেন। তখন রামমোহন রায় উপযুক্ত সময় বুঝিয়া তাহাকে আক্রমণ করিলেন ; বলিলেন, “দেবতা ! এ আপনার কেমন ব্যবহার ? আপনি আমাকে যে উপদেশ দিলেন, নিজে কেন তাহার বিপরীত ব্যবহার করেন ? যে দন্তকাষ্ঠ একবার উচ্ছিষ্ট হইয়াছে, তাহা ব্যবহার করা যদি