পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুহ প্ৰত্যাবৰ্ত্তন, শাস্ত্ৰচৰ্চা, পুনর্বর্জন ও বিষয়কৰ্ম্ম ২৯ একেবারে পান নাই । দেওয়ানি পাইবার আশায়, প্ৰথমে তাহাকে সামান্য কেরাণীর কৰ্ম্ম স্বীকার করিতে হইয়াছিল। সিবিলিয়ানদিগের মধ্যে অনেকে, আমলাদিগের প্রতি যে প্রকার অন্যান্য ব্যবহার করিয়া থাকেন, তাহা সাধারণের অবিদিত নাই । তাহারা ভদ্রসন্তানের প্রাপ্য ন্যায্য সম্মান লাভ করা দূরে থাকুক, কখন কখন গো-অশ্বের ন্যায় ব্যবহৃত হইয়া থাকেন । কিন্তু ইহা যে কেবল সাহেবদিগের দোষ, এমন বোধ হয় না । আমাদিগের স্বদেশীয় যে সকল ভ্ৰাতা আমলার কায্য করিয়া থাকেন, তাহদের মধ্যে অনেকের ব্যবহার যে প্ৰকার নিন্দনীয়, তাহাতে সহজেই তাহারা প্রভুর অশ্রদ্ধাভাজন হন ; সুতরাং উপযুক্ত সম্মানলাভে বঞ্চিত হন । আমলারা যদি আপনার সম্মান আপনি রক্ষা করিয়া চলিতে জানিতেন, যদি তাহারা স্বাধীনচিত্ত ও সত্যপ্রিয় হইতেন, তাহা হইলে সকল স্থলে না হউক, অনেক স্থলেই সিবিলিয়ান সাহেবেরা তাহাদের প্রতি যথাযোগ্য ব্যবহার করিতে বাধ্য হইতেন । এখন অবস্থা অনেক ভাল হইয়াছে। রামমোহন রায়ের সময়ে, অনেক স্থলেই আমলা ও সিবিলিয়ানঃসাহেবের সম্বন্ধ অতি জঘন্য ছিল । এক দিকে তোষামোদ, হীনতা ও অসত্যপ্রিয়তা ; ‘অপর দিকে ঔদ্ধত্য, অভদ্রতা ও অশিষ্টাচার । সুতবাং রামমোহন রায়ের ন্যায় একজন স্বাধীনচিত্ত, উন্নতমনা লোক যে, কৰ্ম্ম গ্রহণের পূর্বে সতর্ক श्दन, शैश् ! अ*5र्षJ नgश् । তিনি সিবিলিয়ান ৬ জন ডিগবি সাহেবের অধীনে কেরাণীগিরি কৰ্ম্মের তুষ্ট প্রার্থী হইয়াছিলেন। সাহেব তাঁহাকে কৰ্ম্ম দিতে অঙ্গীকার করিMে, তিনি তাহার নিকট এই প্ৰস্তাব করিলেন যে, তিনি এই মৰ্ম্মে এzটা লেখাপড়া করিয়া তাহাতে স্বাক্ষর করিয়া দিন যে, যখন তিনি কাৰ্য্যের জন্য তাহার সম্মুখে আসিবেন, তখন তাহাকে আসন দিতে