পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “আনুষঙ্গিক কথা-প্রবাহ ক্ৰমশঃ বৃদ্ধি হইয়া পড়িয়াছে, সত্য বটে, কিন্তু প্ৰিয়তম পাঠকগণ !” যিনি ভাবতভূমির দুঃখহরণ ও শুভসাধনার্থ প্ৰাণ, মন, ধন সমৰ্পণ করেন, “মানব-কুলের হিত-সাধন করাই পরমেশ্বরের যথার্থ উপাসনা।” এই মহাৰ্থবোধক পবম পবিত্র পাসিক বচনটি যিনি সতত আবৃত্তি করিয়া নিজ চরিতে নিরন্তব সম্যকরূপে তাহার দৃষ্টান্ত প্ৰদশন করেন, সেরূপ অসাধারণ বুদ্ধি, ক্ষমতা ও হিতৈষিতা গুণের একত্র সংযোগ, ভূমণ্ডলে আর কখন ঘটিয়াছিল, এমন বোধ হয় না ; যিনি একাধারে সেইরূপ। ঐ সমস্ত গুণ ধাবণপূর্বক যাবজ্জীবন মহৎ মহৎ কল্যাণকব ক্রিয়ানুষ্ঠান কবেন, এবং ভূস্বৰ্গসমান ইয়োবোপ ও আমেবিকা, ভক্তিপূর্বক যে অসামান্য পুরুষের নিকট উপদেশ ও পবামর্শ গ্ৰহণ কবিয়া কৃতাৰ্থ হয়, মনের দ্বােব উদঘাটন পূর্বক উচ্চৈঃস্বাবে শ্রদ্ধা-সহকাবে র্যাহার গুণবর্ণন ও মহিমাকীৰ্ত্তন করে, র্যাহার সর্ব-শুভকর উদাবচরিত্র আদর্শস্বরূপ জ্ঞান করিয়া অন্তঃকরণের সহিত তাহার অনুকবণ প্রার্থনা কবে, এবং এক সময়ে র্যাহাব সহিত সহবাস ও সদালাপ বহুমুল্য সম্পত্তি বিবেচনা করিয়া তল্লাভার্থে যার পাব নাই আগ্রহ ও ঔৎসুক্য প্ৰকাশ কবে, ও পরে র্যাহার অসম্ভাবে শোকাকুল হইয়া দুঃসহ ক্লেশানুভবপূর্বক বিলাপ ও ক্ৰন্দন করে, উল্লিখিত কথাগুলি তাহারই পুণ্য-প্ৰসঙ্গ বলিয়া আমাকে ক্ষমা করিও । “এটি যদি একটি খ্যাতাপন্ন ইংরাজের প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণের সঙ্কল্প হইত, তাহা হইলে, কত নানাপদস্থ ভূম্যধিকারীর বিস্তৃত ভূসম্পত্তিব উপস্বত্ত্ব, কত রাজ্য-শূন্য রাজোপাধিকের রাজস্ব-ভাগ, কত কৰ্ম্মচাবিত্ব-পদেব বেতনমুদ্রা, কত বাণিজ্য-ব্যবসায়ের লাভাংশ ও কত কত অন্যতম স্বাধীন বৃত্তির আয়টঙ্ক মুহুৰ্ত্তমাত্রে দানপুস্তকে অঙ্কিত ও অবিলম্বে একত্র রাশিক্তি হইয়া কাৰ্য্যসাধন করিয়া দিত । অথবা রামমোহন রায়েরই স্মাবণ-চিহ্ন সংস্থাপমার্থ যদি একটি সন্ত্রান্ত ইংরেজ উদযোগী হইতেন, তাহা হইলেও