পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O)\\ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বাহাড়ম্বর তাহার সীমা হইতে সীমান্তর পর্য্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল। বেদের যে সকল কৰ্ম্মকাণ্ড, উপনিষদের যে ব্ৰহ্মজ্ঞান, তাহার আদর এখানে কিছুই ছিল না ; কিন্তু দুর্গোৎসবের বলিদান, নন্দোৎসবের কীৰ্ত্তন, দোলযাত্রার আবির, রথযাত্রার গোল, এই সকল লইয়াই লোকেরা মহা আমোদে,মনের আনন্দে কালাহরণ করিত। গঙ্গাস্নান, ব্ৰাহ্মণবৈষ্ণবে দান, তীর্থভ্ৰমণ, অনশনাদিদ্বারা তীব্ৰ পাপ হইতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়, পবিত্ৰতা লাভ করা যায়, পুণ্য অর্জন করা যায়, ইহা সকলের মনে একেবারে স্থিরবিশ্বাস ছিল, হঁহার বিপক্ষে কেহ একটিও কথা বলিতে পারিতেন না। অন্নের বিচারই ধৰ্ম্মের কাষ্ঠাভাব ছিল, অন্নগুদ্ধির উপরেই বিশেষরূপে চিত্তশুদ্ধি নির্ভর করিত । স্বপাকহবিষ্য ভোজন অপেক্ষা আর অধিক পবিত্রকর কৰ্ম্ম কিছুই ছিল না। কলিকাতার বিষয়ী ব্ৰাহ্মণের ইংরাজিদিগের অধীনে বিষয়কৰ্ম্ম করিয়াও, স্বদেশীয়দিগের নিকটে ব্ৰাহ্মণজাতির গৌরব ও আধিপত্য রক্ষা করিবার জন্য বিশেষ যত্ন করিতেন। তাহারা কাৰ্য্যালয় হইতে অপরাহে ফিরিয়া আসিয়া অবগাহন স্নান করিয়া স্লেচ্ছ সংস্পৰ্শজনিত দোষ হইতে মুক্ত হইতেন এবং সন্ধ্যাপূজাদি শেষ করিয়া দিবসের অষ্টমভাগে আহার করিতেন। ইহাতে তাহারা সর্বত্র পূজ্য হইতেন এবং ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতেরা তাহাদের যশঃ সর্বত্র ঘোষণা করিতেন । র্যাহারা এত কষ্ট স্বীকার করিতে না পারিতেন, তাহারা কাৰ্য্যালয়ে যাইবার পূর্বেই সন্ধ্যাপূজা হোম সকলই সম্পন্ন করিতেন ; এবং নৈবেদ্য ও টাকা ব্ৰাহ্মণদিগের উদ্দেশে উৎসর্গ করিতেন, তাহাতেই তাহদের সকল দো ষর প্রায়শ্চিত্ত হইত। ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতেরা তখন সংবাদপত্রের অভাব অনেক মোচন কৱিতেন। র্তাহারা প্ৰাতঃকালে গঙ্গাস্নান করিয়া পূজার চিহ্ন কোশকুশি হন্তে লইয়া সকলেরই দ্বারে দ্বারে ভ্রমণ করিতেন এবং এ দশ