পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত জগৎ ও সত্য পদার্থের দার্শনিক বিশ্লেষণদ্বারা উক্ত প্ৰমাণ ব্যাখ্যা করিয়াছেন। বেদান্তদর্শন যেমন “অহং” ও “ইন্দং” অথবা বিষয় ও বিষয়ীর জ্ঞান বিশ্লেষণ করিয়া অদ্বৈতীব্রহ্মে উপনীত হইয়াছেন, রাজাও সেইরূপ বেদান্ত মার্গে আত্মতত্ত্ব বা আত্মজ্ঞানের দ্বার দিয়া ব্ৰহ্ম বা পরমেশ্বরে উপস্থিত হইয়াছেন। মওয়াহিদীন সুফী ও নিও-প্লেটনিষ্ট ( Neo-Platonist), शैष्ठैिश्वान् মিষ্টিকস (Christian Mystics)-f(sists ঈশ্বরপ্রমাণ এইরূপ। আধুনিক জৰ্ম্মানদেশীয় দার্শনিকগণ, এবং ইংলণ্ডীয় নিও-ক্যান্টিয়ান ( Neo-Kantian) এবং নিও-হিগেলিয়ান (Neo-Hegelian) MossC<Pf9 gè °sQ QASA fPf(SA যাহারা এই পথ অবলম্বন করেন, তাহারা যে কাৰ্য্য-কারণ-সম্বন্ধীয় যুক্তি, কৌশল-সম্বন্ধীয় যুক্তি, এবং কৰ্ত্তব্যজ্ঞানমূলক যুক্তি পরিত্যাগ করেন, এমন নহে। তবে তঁহাদের হস্তে সেগুলি নুতন আকার ধারণ করে। প্ৰথমে পূর্ণ সত্যের জ্ঞান, এবং সেই পূর্ণ সত্য বা ব্ৰহ্মের সহিত জগৎ ও আত্মার সম্বন্ধের জ্ঞান পরিস্ফুট হয়। তৎপরে, কারণ, কৌশল, কৰ্ত্তব্য এই সকল শব্দের নূতন অর্থ বুঝিতে পারা যায়। অর্থাৎ সেগুলি বাহিক না হইয়া আন্তরিক হয়, সৰ্ব্বাতীত না হইয়া সৰ্ব্বগত হয় । বেদান্তে ইহাকে “তাদাত্ম্য” সম্বন্ধ বলে। এইরূপ পুরাতন প্রমাণগুলি নূতন ভাবে, নূতন আকারে আত্মতত্ত্ব বা ব্ৰহ্মতত্ত্বস্বরূপ একমাত্র প্রমাণের অধীন হইয়া পডে । রাজার আর একটি মানসিক বিকাশ এই যে, যেমন মওয়াহিদীন সুফী এবং বেদান্তের প্রভাবে রাজা স্থির করিলেন যে, আত্মতত্ত্ব, আত্মজ্ঞান, বা ব্ৰহ্মজ্ঞানই ধৰ্ম্মের দার্শনিক ভিত্তি, সেইরূপ জীবনগত বা কাৰ্য্যগত ধৰ্ম্মের দিকেও শমদমাদি সাধন ও লোকশ্ৰেয়ঃ বা মনুষ্যপ্রেমকে । কেবল একমাত্র অবলম্বনস্বরূপ না করিয়া ব্ৰহ্মোপাসনাকেই মূলভিত্তি,