৬২৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মতে অনেক উন্নতি হইয়াছে। সংক্ষেপে বলিতে গেলে সে উন্নতি এই ;- কৰ্ম্ম হইতে জ্ঞান এবং জ্ঞান হইতে ভক্তি ; অর্থাৎ কৰ্ম্মকাণ্ড হইতে জ্ঞানকাণ্ডের ভিতর দিয়া ক্ৰমশঃ ভক্তিমার্গে উপনীত হওয়া ; অথবা কাম্যকৰ্ম্ম কিম্বা প্ৰবৃত্তিমাৰ্গ হইতে নিবৃত্তিমার্গের মধ্য দিয়া নিষ্কামধৰ্ম্মে পৌঁছান। এই উন্নতির বিষয়ে, সংক্ষেপে আর এক প্রকারে বলা যাইতে পারে। ব্ৰহ্ম হইতে পরমাত্মা এবং পরমাত্মা হইতে ভগবান। সার্বভৌমিক ধৰ্ম্মের সমাজ বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে রাজা কি বলিয়াছেন, আমরা উপরে তাহা বলিয়াছি । সেই বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মকে, জীবনে পরিণত করিবার জন্য তিনি ব্রাহ্মসমাজ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এক নিরাকার পরমেশ্বরের উপাসনাই উক্ত সমাজের উদ্দেশ্য । বেদ, বাইবেল ও কোরাণের যাহা সাধারণ মত, অসাম্প্রদায়িক মত, তাহাই ব্ৰাহ্মসমাজের মত । সমাজের ট্রষ্ট ডীড পত্রে, রাজা সেই সাধারণ অসাম্প্রদায়িক মত সুস্পষ্টরূপে লিখিয়া গিয়াছেন । জাতীয় ভাবে সংস্কার প্ৰত্যেক জাতি ও দেশের ধৰ্ম্ম ও সমাজসংস্কার সম্বন্ধে রাজার মত আমরা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করিতেছি। আমরা পূর্বে বলিয়াছি যে, রাজা বিশ্বাস করিতেন যে, বিভিন্ন যুগ ও জাতি সম্বন্ধে বিভিন্ন শাস্ত্র পরমেশ্বরের বিধান। কি ভাবে তিনি শাস্ত্ৰ সকলকে বিধান মনে করিতেন, তাহা আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যেমন, সেইরূপ, সামাজিক ও পারিবারিক নীতি ও আচার ব্যবহার সম্বন্ধে তিনি মনে করিতেন যে, প্ৰত্যেক জাতির কতকগুলি সাধারণাগ্ৰাহ নিয়মাবলী আছে। সেইরূপ নিয়মাবলী