পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SÖ@ br মহাত্ম রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অসচ্চরিত্ৰত নিবারণের উপায় তৃতীয় ;-তৎপরে রাজা অসচ্চরিত্ৰতা বা ইন্দ্ৰিয়পরতন্ত্রতার কথা বলিতেছেন । কিছু ধন হইলেই অনেকে প্ৰকাশ্য ভাবে উপপত্নী রাখিয়া থাকেন। রাজার মতে, স্ত্রীলোকেরা শিক্ষিত হইয়া উপযুক্ত সম্মান, অধিকার ও শিক্ষা লাভ করিলে এই প্ৰকার দুনীতি সমাজ হইতে ক্ৰমশঃ তিরোহিত হইবে । হিতকর অথচ শাস্ত্ৰ নিষিদ্ধ প্ৰথা প্ৰচলিত করিবার উপায় কি ? চতুর্থ ;-কৌলীন্য প্ৰথা জনিত বহুবিবাহ প্ৰচলিত থাকাতে, এবং বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ বলিয়া সমাজে দুনীতি বৃদ্ধি পাইতেছে। এই দুই কারণে, এবং ঐ দুই শ্রেণীর স্ত্রীলোক হইতেই পতিতা নারীগণের সংখ্যা বুদ্ধি পাইয়া থাকে। ইহা নিবারণের উপায়, বহুবিবাহ প্রথা রহিত করা। বিধবাবিবাহ বিষয়ে রাজার স্পষ্ট মত পাওয়া যায় না । এ বিষয়ে * জিজ্ঞাস্য এই যে, যদি এমন দেখা যায়-কোন প্ৰথা সমাজে প্ৰবৰ্ত্তিত না করিলে অকল্যাণ হয়, অথবা প্ৰবৰ্ত্তিত করিলে কল্যাণ হয়, অথচ সে প্ৰথা যদি শাস্ত্ৰসিদ্ধ না হয়, তাহা হইলে কি করিতে হইবে ? যদি শাস্ত্ৰে তাহার নিষেধ না থাকে, তাহা হইলে তাহার কোন প্ৰতি বন্ধক নাই। উহা সমাজে প্ৰচলিত করিলেই চলিতে পারে । কিন্তু যদি সেই হিতকর ও প্রয়োজনীয় প্রথাটি শাস্ত্ৰানুসারে নিষিদ্ধ হয়, তাহা হইলে কি উপায় হইবে ? রাজা এক পথ রাখিয়া গিয়াছেন। রাজার মতে ব্ৰহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পক্ষে লোকশ্ৰেয়ঃই সনাতন ধৰ্ম্ম । সেই সনাতনধৰ্ম্ম শাস্ত্রানুসাবে