পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭০ w, মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মতামত চাহিয়া পাঠাইয়াছিলেন, কিন্তু প্ৰবীণ কর্তৃপক্ষের নিষেধে তাহাদিগকে নিরস্ত হইতে হইয়াছিল। একমাত্র দেবতার অৰ্চনা যে পরিবারে সম্পাদিত, সেই পরিবারভুক্ত রামমোহন কিশোরেই বুঝিয়াছিলেন-ঈশ্বর এক, বহু নহেন। তিনি বয়োবৃদ্ধি সহকারে বলিতেন, আমাদের গোষ্ঠীর দেবতা একমাত্র হওয়াতে, আমরা বাল্য হইতে বুঝিয়া লাইতে পারি-ঈশ্বর একমাত্র। যদি কেহ একথায় স্বীকৃত হইতে অসম্মত হন, তাহাকে একমাত্র ঘটনা স্মরণ করাইয়া দিতেছি,-ষে বালক, নুনাধিক ষোড়শ বর্ষে একেশ্বরবাদিত প্ৰবন্ধ রচনা করিতে পারেন, যাহারঐ বয়সে ভোট অর্থাৎ তিব্বত দেশে ভ্ৰমণাসক্তি বলবতী হইয়াছিল, তাদৃশ কিশোর বা বাল্যাবস্থার পক্ষে উহা কেন অসম্ভব হইবে ? আনুমানিক এই যুক্তিও আমাদের ত্যাজ্য হইতে পারে। কিন্তু প্ৰকৃত ঘটনার অপলাপ করিবার কোন কারণ না পাইলে, উহা কি কারণে অগ্ৰাহ হইবে ? গোষ্ঠীর মধ্যে র্যাহারা পারিবাবিক সমাচার বিশেষভাবে রাখিতেন, তাহদের নিকট হইতে এই সংবাদ প্ৰাপ্ত হইয়াছি । এই প্ৰবন্ধলেখক ও রাজা রামমোহন রায় এক পরিবারভুক্ত, পাঠকগণের গোচরার্থ ইহা জানাইতে বাধ্য হইলাম। আদ্য যে ঘটনাগুলি বর্ণিত হইল, • ৎসমস্ত লেখক আপনি পিতা-পিতৃব্য প্ৰভৃতির নিকট অবগত হইয়াছেন, ১। হা বলিবার নিমিত্তই এই পরিচয় দিতে হইল।” “যে প্ৰসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় রামমোহন রায়ের জীবনচরিত লিখিবার আয়োজন করিয়াছিলেন, তাহাকেও উহা স্বীকার করিতে শুনিয়াছিলাম।”-শ্ৰীযুক্ত মহেন্দ্ৰনাথ বিদ্যানিধি লিখিত । রাজা রামমোহন রায় ও হরিহরানন্দ তীৰ্থস্বামী রাজা যখন বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে রঙ্গপুরে ছিলেন, তখন হরিহরানন্দ তাৰ্থস্বামী কুলাবধূত সেখানে আসিয়া তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া