পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ ○ ○ বিপরীত দেখিতেছি যে, রূপগুণবিশিষ্টকেই সাক্ষাৎ ব্ৰহ্ম বলিয়া তাহার উপাসনা করা হয়। দ্বিতীয়তঃ, রাজা অপেক্ষ রাজার দ্বারবানের নিকটে যাইতে পারা সুসাধ্য, এবং রাজা অপেক্ষ রাজার দ্বারবান নিকটস্থ ; DDBDBB DBBBB BBDBDBDBDS DDDB BBB DDDg DBBDBD DDSS SDDBD এস্থলে অন্য প্রকার দেখিতেছি । ব্ৰহ্ম সর্বব্যাপী ; আর র্যাহাকে তাহার দ্বারবান বলিতেছেন, তিনি মনের দ্বারা অথবা, হস্তের দ্বারা নিৰ্ম্মিত । কখনও তিনি থাকেন, কখনও থাকেন না । কখনও নিকটস্থ, কখনও দূরস্থ। অতএব কিরূপে এরূপ বস্তুকে অন্তৰ্য্যামী, সর্বব্যাপী পরমাত্মা অপেক্ষা নিকটস্থ বলিয়া স্বীকার করিয়া উহাকেই ব্ৰহ্মপ্ৰাপ্তির উপায় বলেন । তৃতীয়তঃ, যে বস্তু চৈতন্যাদি রহিত জড়মাত্র, তাহা কিরূপে, এরূপ মহৎ কাৰ্য্যের সহায়তা করিতে পারে ? বেদান্তভায্যের হিন্দুস্থানী ও ইংরেজী অনুবাদপ্ৰকাশ রামমোহন রায়ের সুপ্ৰশস্ত হৃদয় কেবল বঙ্গভূমির মধ্যে বদ্ধ ছিল না । উহা সমগ্ৰ ভারতের জন্য ক্ৰন্দন করিত । সুতরাং বেদান্তসুত্রের বাঙ্গালা অনুবাদ ভারতের সকল প্ৰদেশবাসীর বোধগম্য হইবে না বলিয়া “তিনি শীঘ্রই একখানি হিন্দুস্থানী অনুবাদ প্ৰকাশ করিলেন। পরে, ১৮১৬ খ্ৰীষ্টাব্দে, ১৭৩৮ শকে, বেদান্তসুত্রের ইংরেজী অনুবাদ প্ৰকাশ করিলেন । এই শেষোক্ত গ্রন্থের ভূমিকাতে তিনি বলিয়াছেন ;-“আমি ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করিয়া বিবেক ও সরলতার আদেশে যে পথ অবলম্বন করিয়াছি, তাহাঁতে আমার প্রবল কুসংস্কারাচ্ছন্ন আত্মীয়গণের (র্যাহাদের সাংসারিক সুখ, বৰ্ত্তমান ধৰ্ম্মপ্ৰণালীর উপর নির্ভর করে ) তিরস্কার ও নিন্দার পাত্র হইতে হইয়াছে। কিন্তু ইহা যতই কেন অধিক হউক না, अभि এই বিশ্বাসে ধীরভাবে সমস্ত সহা করিতে পারি যে, একদিন আসিবে,