পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QWり মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত অতি বিস্তৃত ও কঠিন গ্রন্থ। উহা সাধারণের বোধগম্য হইবার সম্ভাবনা অল্প । যদিও তিনি অতি পরিষ্কাররূপে তাহার অর্থ ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন, তথাচ পাছে সকলে তত বড় গ্ৰন্থ পাঠ ও তাহার মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতে না। পারে, এই জন্য, তিনি উহার সারসঙ্কলন পূর্বক ‘বেদান্তসার’ নামে এই গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিলেন। কোন শকে ইহা প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তাহা আমরা ঠিক জানিতে পারি নাই। কিন্তু বোধ হয় যে, বেদান্তসূত্রের সঙ্গেই, অথবা অল্পকাল পরেই উহা প্ৰকাশ হইয়াছিল। ১৮১৬ খ্ৰীষ্টাব্দে, ১৭৩৮ শকে, উহার ইংরেজী অনুবাদ প্ৰকাশ হয় । খৃষ্টধৰ্ম্মপ্রচাবক সাহেবেরা উহা পাঠ করিয়া আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন, এবং বাচয়িতার পরিচয় ইয়োরোপে প্রচার করিয়াছিলেন । বেদান্তদর্শনকে মলভিত্তি করিয়া রাজা রামমোহন বায়, হিন্দু পণ্ডিতদিগের সহিত শাস্ত্ৰবিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । সেই জন্য, তাহার শাস্ত্ৰবিচারের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য অনুধাবন করিতে হইলে, তাহাব লিখিত বেদান্তভায্যের তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম ক’বা আবশ্যক । কিন্তু উহা বৃহৎ গ্রন্থ। সেই জন্য, আমরা তাহার বিচিত ‘বেদান্তসার’ নামক’ ক্ষুদ্র পুস্তককে বিশেষ বিশেষ ভাগে বিভক্ত করিয়া, পাঠকবর্গের নিকট উহাব তাৎপৰ্য্য যথাসাধ্য ব্যাখ্যা করিতেছি । ব্ৰহ্ম কি, কেমন, তাহা নির্দেশ করা যাইতে পারে না সমুদয় বেদবেদান্তাদি শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য পরব্রহ্মকে জানা অবশ্য কৰ্ত্তব্য । ভগবান বেদব্যাস বেদান্তের প্রথম সুত্রে ইহার ৬উলেখা করিয়া শ্রুতি এবং শ্রুতিসম্মত বিচারের দ্বারা দেখিলেন যে, ব্ৰহ্মেব স্বরূপ কোন মতেই জানিতে পারা যায় না। অর্থাৎ ব্ৰহ্ম কি, ও কেমন, তাহা নির্দেশ করিতে পারা যায় না। যেহেতু, শ্রুতি কহিতেছেন ;-ন চক্ষুষা