পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার। X o IX করিয়া উঠিতে হয়, সেই প্ৰকার পরব্রহ্মের উপাসনার অধিকারী হইবার পূৰ্ব্বে দেবদেবীগণের উপাসনা একান্ত আবশ্যক। শঙ্করশাস্ত্রীর উত্তরে রামমোহন রায় লিখিলেন যে, তিনি কখনই এমন কথা বলেন না যে, তিনি একটি নূতন মতের সংস্থাপনকৰ্ত্তা। অন্যে এ কথা বলিলে তিনি অস্বীকার করেন। তঁহার বিরোধীরাই তেঁাহার মত তিন বলিয়া নিন্দা করিতেছে। পৌত্তলিক পূজাসম্বন্ধে শঙ্করশাস্ত্রী যাহা বলিয়াছিলেন, রামমোহন রায়। তদুত্তরে বেদান্তাদি শাস্ত্ৰ হইতে ভুরি ভূরি শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া দেখাইলেন যে, উক্ত মত সম্পূর্ণ অমূলক। শঙ্করশাস্ত্রী কয়েকটি শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধত করিয়া বলিয়াছিলেন যে, পরব্রহ্মের জ্ঞানলাভ করা অতিশয় কঠিন, সেই জন্য সাকারোপাসনা অবশ্যক। রামমোহন রায় এ কথার উত্তরে বলিতেছেন যে, পরমেশ্বরের জ্ঞানলাভ করা নিশ্চয়ই কঠিন, এমন কি, তাহার পূর্ণজ্ঞান লাভ করা অসম্ভব। কিন্তু যে ব্যক্তি সহজজ্ঞানসম্পন্ন এবং পূৰ্ব্ব হইতেই যিনি কুসংস্কারশৃঙ্খলে বদ্ধ নহেন, তাহার পক্ষে মনুষের হস্তনিৰ্ম্মিত প্ৰতিমূৰ্ত্তির ঈশ্বরত্বে বিশ্বাস করা যত কঠিন, জগৎকাৰ্য্যে পরমেশ্বরের সত্তা অনুভব করা उरु कर्टिन नgश् । “কলিকাতা গেজেট” ( Calcutta Gazette ) নামক সংবাদ পত্রে রামমোহন রায়ের বিষয়ে লিখিত হইয়াছিল যে, প্ৰধান প্ৰধান হিন্দুপৰ্ব্বাহে, রামমোহন রায়ের প্রতিষ্ঠিত “আত্মীয় সভা”র অধিবেশন হইয়া থাকে। এই সকল অধিবেশনের উদ্দেশ্য এই যে, “আত্মীয় সভা”র সভ্যগণ পৌত্তলিক ক্রিয়াকলাপে যোগ না দেন, এবং তঁহাদের বেদান্তানুযায়ী নিৰ্ম্মলতার বিশ্বাসকে দৃঢ়ীকৃত করেন। “আত্মীয় সভা”র এই সকল অধিবেশনে পৌত্তলিকদিগের ন্যায় নৃত্যগীত হইয়া থাকে; কিন্তু, তাহদের সকলসঙ্গীতই একেশ্বরবাদীদিগের বিশ্বাস ও মতানুযায়ী। শঙ্করশাস্ত্রী কলিকাতা