পূৰ্বপুরুষ, মাতা পিতা ও বাল্যকাল। Σ Σ হইলে, শ্ৰীরামপুরের নিকটবৰ্ত্তী চাতরা নিবাসী শ্যাম ভট্টাচাৰ্য ভিক্ষার্থ DD DDD BB gBBBD DDBB S HD DBB DBBDDDBS ইহারা দেশগুরু বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন । ব্ৰজবিনোদ রায় তাহার প্রার্থনা পূর্ণ করিতে প্রতিশ্রুত হইলে, শ্যাম ভট্টাচাৰ্য বলিলেন, “মহাশয়, অনুগ্ৰহ পূর্বক এই আজ্ঞা করুন যে, আপনার কোন একটি পুত্রকে আমার কন্যা সম্প্রদান করিতে পারি।” শ্যাম ভট্টাচাৰ্য্য শাক্ত ও ভঙ্গকুলীন ; সুতরাং তাহার প্রস্তাবে সহজেই অসম্মতি হইবার কথা। কিন্তু ব্ৰজবিনোদ রায় কি করেন ? তিনি ভাগীরথী সমীপে প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছেন যে, তঁহার কামনা পূর্ণ করিবেন। সুতরাং অস্বীকার করা অসম্ভব হইল। তিনি তখন আপনার পুত্ৰগণের প্রত্যেককে এ বিষয়ের জন্য অনুরোধ করিলেন। তাহার সাত পুত্রের মধ্যে ক্রমে ক্ৰমে ছয় জন অসন্মতি প্ৰকাশ করিলেন। পরিশেষে তাহার পঞ্চম পুত্র রামকান্ত আহলাদাপূর্বক পিতৃসত্য পালনে অঙ্গীকার করিলেন। এই রামকান্তের ঔরসে ও খাম৷ ভট্টাচাৰ্য্যের কন্যা তারিণী দেবীর গর্ভে তিনটি সন্তান প্ৰসুত হয়। প্ৰথম, একটি কন্যা। ঐ কন্যার নাম জানা যায় নাই। দ্বিতীয় পুত্ৰ, নাম জগন্মোহন । তৃতীয়, বামমোহন। শ্ৰীধর মুখোপাধ্যায় নামক এক বুদ্ধিমান ব্যক্তির সহিত কন্যাটির বিবাহ হইয়াছিল। শ্ৰীধর মুখোপাধ্যায়ের পিতা ১২৫ বৎসর জীবিত ছিলেন। কথিত আছে, তাহার পুত্র গুরুদাস মুখোপাধ্যায়, রামমোহন রায়ের সর্বপ্রথম শিষ্য। তিনি তঁহার মাতুলকে অতিশয় ভালবাসিতেন। রামমোহন রায়ের জননী তারিণী দেবীকে পরিবারস্থ সকলে ও অন্যান্য লোকে ‘ফুলঠাকুরাণী” বলিত। রামকান্ত যেন পিতৃভক্তি ও স্বাথত্যাগের পুরস্কারস্বরূপ রামমোহন রায়ারূপ পুত্ররত্ন লাভ করিয়াছিলেন। রামলোচন নামে তাহার এক বৈমাত্রেয় ভ্রাতা ছিলেন। স্বামমোহন ও জগন্মোহন উভয়ের অপেক্ষা তিনি বয়ঃকনিষ্ঠ।