পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত। পত্নী উমাদেবীর পিত্ৰালয় কলিকাতার পার্শ্ববৰ্ত্তী ভবানীপুরে। ইনি ৬/ মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ ভগিনী। মহাত্মাদিগের জীবনও যে সাময়িক কুসংস্কার ও কুপ্রথার হস্ত হইতে সম্পূর্ণরূপে নিস্কৃতি লাভ করিতে পারে না, পুরাবৃত্ত তদ্বিষয়ে উচ্চৈঃস্বরে সাক্ষ্যদান করিতেছে। রামমোহন রায়ের জীবন এ নিয়মের ব্যতিক্ৰমস্থল নহে। তঁহার জীবনেও বহুবিবাহরূপ কলঙ্কস্পর্শ হইয়াছিল। কিন্তু অল্পবয়সে, প্ৰায় নয় বৎসর মাত্র বয়সে, পিত্ৰাদেশে যাহা ঘটিয়াছিল, তজ্জন্য তঁহাকে দোষ দেওয়া উচিত নহে। পিতাকর্তৃক পুনর্বর্জন। বিদেশ হইতে প্ৰত্যাগমনের পর, বামমোহন রায় অত্যন্ত পরিশ্রমসহকারে, একাগ্ৰচিত্তে, সংস্কৃতশাস্ত্রের চর্চায় প্রবৃত্ত হইলেন। এই সময়ে তিনি স্মৃতি, পুরাণ প্ৰভৃতি শাস্ত্ৰে, অল্প কালের মধ্যে আশ্চৰ্য্য বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। তিনি যে হিন্দুশাস্ত্ৰসিন্ধু মন্থন পূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মজ্ঞানরূপ অমূল্য রত্ন উদ্ধার করিয়াছিলেন, এই সময় হইতেই প্রকৃষ্টরূপে তাহার আয়োজন করিতেছিলেন। এক্ষণে মধ্যে মধ্যে র্তাহার পিতার সহিত তর্ক বিতর্ক হইত। এই সকল তর্ক বিতর্কে, রামকান্ত রায় পুত্রের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া, যার পর নাই দুঃখিত হইতেন; কিন্তু তিনি তজ্জন্য স্পষ্টভাবে তাহাকে তিরস্কার করিতেন না। সময়ে সময়ে কথাপ্রসঙ্গে প্ৰকারান্তরে তঁাহার প্রতি বিরাগপ্রদর্শন করিতেন মাত্র। রামকান্ত রায় মনে করিয়াছিলেন যে, তিন চারি বৎসর বিদেশে অসহায় অবস্থায় বহুকষ্ট পাওয়াতে রামমোহন রায়ের যথেষ্ট শিক্ষা হইয়াছে। তিনি এখন শান্ত শিষ্ট হইয়া “সাংসারিক সুখে মন দিবেন; পৈতৃক ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে আর বাঙুনিষ্পত্তি করিবেন না। কিন্তু তাহার