পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনারায়ণ বসু সম্পর্কে পুরাতন পন্থীরা অত্যন্ত সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু রাজনারায়ণবাবু সম্পর্কে এই সাধারণ মনোবৃত্তির ব্যতিক্রম সকল সময়ে দেখা যাইত । এ সম্পর্কে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলিব । —একবার আমি দেওঘরে যাইতেছি। ট্ৰেণটি মধুপুর ষ্টেশনে থামিতেই বৈদ্যনাথ মন্দিরের পাণ্ডার দল আমাদের কামরায় উঠিয়া পড়িল । যাত্রীরা কোথায় যাইবে, পাণ্ড চাই কিনা, পাণ্ডা নিয়োগ অপরিহাৰ্য্য কেন, এসব নানা কথা বলিয়া তাহারা বক্ততা আরম্ভ করিয়া দিয়াছে । একটি পাণ্ডা। আমার সম্মুখে আসিয়া এসব বলিতেই আমি হাসিয়া বলিলাম-আমি তীর্থযাত্রী সত্য, কিন্তু আমার পাণ্ড আগে থেকেই ঠিক করা আছে। পাণ্ডাটি তাহদের দলের সকলকেই চেনে, কাজেই আমার কথা শুনিয়া সে সাগ্রহে তাহার নাম জানিতে চাহিল । আমি হাসিয়া বলিলাম-আমার পাণ্ডার নাম শ্ৰী রাজনারায়ণ বসু । পাণ্ডাটি শ্রদ্ধার সহিত যুক্তকর নিজ মাথায় ঠেকাইয়া বলিল-উনি আমাদের আর এক বৈদ্যনাথ বাবা । আমি অত্যন্ত বিস্মিত হইয়া বলিলাম- সে কি কথা ? উনি তো হিন্দুর দেবদেবী মানেন না, তাছাড়া ব্ৰাহ্ম সমাজের লোক ! একজন ভিন্ন ধৰ্ম্মীয় ব্যক্তি তোমাদের বৈদ্যনাথ বাবা হচ্ছেন কিরূপে ? আত্মপ্ৰত্যয়ের সহিত সে উত্তর দিল—তিনি ধাৰ্ম্মিক কি o