পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু চিন্তাশীল ব্যক্তিদের কেন্দ্ৰে পরিণত হইল। সেখানে তৎকালীন সমস্যা ও উহার সমাধানের উপায় লইয়া সকলেই চিন্তা করিতেন। বিশেষ করিয়া দুটি বিষয়ের উপরই তখন আমাদের আলোচনা কেন্দ্রীভূত হয়। প্রথমতঃ, তৎকালীন শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্য স্থায়ী কিছু কাজ করা—দ্বিতীয়তঃ, মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী পরিবারের দাবী উত্থাপন ও মান উন্নয়ন কল্পে একটি রাজনৈতিক সমিতির প্রতিষ্ঠা। সে সময় অবশ্য মাননীয় কৃষ্ণদাস পালের নেতৃত্বে একটি সম্রান্ত প্ৰতিষ্ঠান যথেষ্ট সুনাম অর্জন করে এবং দেশের কল্যাণার্থে অনেক কাজ ও করে। কিন্তু উক্ত সংস্থা বিশেষভাবে দেশের বিত্তশালী ও আভিজাত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সহিত, উহার কোন সম্পর্কই ছিল না। বস্তুতঃ মাধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার সমস্যা বা প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করিবার কোন প্রতিষ্ঠানই ছিল না । আনন্দমোহনের গৃহে আগত ব্যক্তিরা সকলেই এ অসুবিধার কথা চিন্তা করিতেন, উহার সমাধানের উপায় উদ্ভাবন করিতে চাহিতেন । এই ব্যাপারে আনন্দমোহনের নিজের উৎসাহ ছিল অত্যধিক । দেশবরেণ্য নেতা সুরেন্দ্ৰনাথ ব্যানাজির প্রভাব প্ৰতিপত্তি তখন প্রচুর। মধ্যবিত্তদের মুখপাত্র হিসাবে একটি সমিতি গঠনের প্রস্তাব তাহার নিকট করায় তিনি অত্যন্ত উৎসাহিত হন এবং নিজে সক্রিয় অংশ গ্ৰহণ করিবেন বলিয়া আশ্বাস দেন । SSS