পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু পরিবর্তনের জন্য মুঙ্গোরে গমন করি । আনন্দমোহনের শ্যালকও এক কঠিন ব্যাধি হইতে রক্ষা পায়, ডাক্তারেরা তঁহাকে চেঞ্জে নিয়ে যাইবার পরামর্শ দেন। আমি মুঙ্গেরে আসিবার কয়েকদিনের মধ্যে আনন্দমোহন ও তাহার স্ত্রী, পীড়িত শ্যালক এবং শ্বশুরবাড়ীর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন লইয়া সেখানে আগমন কপোন । মুঙ্গের” বাসের কয়েকদিন পর একটি অপ্ৰত্যাশিত দুর্ঘটনায় আমাদের পরিবারটি শোকাচ্ছন্ন হইয়া পড়ে। আমার কনিষ্ঠা কন্যা হঠাৎ একদিন ছাদ হইতে পড়িয়া মারা যায়। বলা বাহুল্য, আমার স্ত্রী শোকে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। আনন্দনে তিন সবেমাত্র সেখানে আসিয়াছেন । দুঃসংবাদ শুনিয়া তিনি আমাদের গৃহে আসিয়া উপস্থিত হন। ইহার পর প্ৰতিদিনই আমাদের গুহে আসিয়া দীর্ঘকাল তিনি আমার শোকার্তা স্ত্রীব সাহিত নানা আলাপে সময় কাটাইতেন। তঁহার প্ৰকৃতি এমনই মধুব যে, অল্পদিনের মধ্যেই তিনি আমার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্নীয়রূপে গণ্য হন এবং তঁহার শোকসািন্তপ্ত চিত্ত আনন্দমোহনের সহানুভূতির সম্পর্শে শান্ত হইয়া উঠে । তিনি মাঝে মাঝে আমায় বলিতেন-মানুষের প্রকৃতির মাধুৰ্য্য যে চেহারায় ফুটে ওঠে তা আনন্দবাবুকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। তঁর মধ্যে এমন একটি প্রশান্তি ও পরিপূর্ণত রয়েছে যে, তিনি যখন কথা বলেন তখন তীব্ৰ শোক ও যেন অনেকাংশে হ্রাস পায়। মানুষের মুখের কথা যে অপরকে এত শান্তি দিতে পারে, এ ধারণা আমার ছিল না। আমার জীবনে আমি এমন ఎసిఎ