পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে হইয়া উঠিত ৷ দেখিলে মনে হইত যে, ভিতরে একটি তীব্র অধ্যাত্ম-আবেগ তরঙ্গায়িত হইতেছে। শুনিয়াছি চৈতন্য, মহম্মদ প্রভৃতি মহাপুরুষদেরও নাকি ভাবাবেগের ফলে অনুরূপ বাহজ্ঞানহীন অবস্থা হইত। ভাবমগ্ন অবস্থায় মহম্মদ যে সকল বাণী উচ্চারণ করিতেন তাহাই কোরাণে লিখিত হইয়াছে। খ্ৰীষ্টীয় সাধকদের জীবনেও দেখা যায়, ভাবময়তার ফলে তঁাহারা অচৈতন্য হইয়া পড়িতেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমরা দেখি যে, কীৰ্ত্তন সভা বা হরিবাসরে কীৰ্ত্তন জমিয়া উঠিলে অনেক ভক্ত বাহ্যজ্ঞান বিরহিত হন । সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যে উচ্চতর ভাবানুভূতি কদাচিৎ দৃষ্টিগোচর হয়- রামকৃষ্ণ, চৈতন্য প্রভৃতি সাধকগণের জীবনে তাহ প্ৰতিনিয়তই ঘটিয়া থাকে। র্তাহার এই ভাবাবেগজনিত মূৰ্চা যে অতিরিক্ত কৃচ্ছ - সাধনের ফলে হইয়াছে, ইহা একদিন তিনি নিজেই আমাকে বলিয়াছিলেন। একদিন আমি তাহার স্বাস্থ্যভঙ্গ ও ঘন ঘন অচেতন হওয়ার বিষয় লইয়া অভিযোগ করিতেছি শুনিয়া তিনি আমায় বলিলেন-তুমি ঠিকই বলেছ, ভাবতন্ময়তাই আমায় শেষ করবে। যে সাধুসস্তারা আসতেন, তঁদের এত সব নির্দেশ পালন করতে গিয়েই আমার এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। অত্যধিক কঠোর তপশ্চৰ্য্যার ফলে এক সময়ে কিছুদিনের জন্য শ্ৰীরামকৃষ্ণের মস্তিষ্ক বিকৃতি পৰ্য্যস্ত ঘটিয়াছিল। একথাটা অনেকেরই জানা নাই। একদিন তিনি নিজেই আমাদের একথা বলেন । সেদিনের প্রসঙ্গটি যথাযথভাবেই এখানে উদ্ধত করিলাম । У 0 o