পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার ইহার পর ডাঃ সরকার আসল রোগীর পরীক্ষা আরম্ভ করলেন। আমাদের পাশেই মহেশবাবুর কনিষ্ট ভ্রাতা গিরীশচন্দ্ৰ উপস্থিত ছিলেন। অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার দোষটি ইহার স্বভাবগত। সেদিনও তিনি যথারীতি প্রেসক্রিপশান লিখনরত ডাক্তার সরকারকে উপযুপরি কয়েকটি প্রশ্ন করিয়া ফেলেন। সকলেই ভীত, হইলাম, কারণ আমরা জানিতাম, ডাক্তার সরকার অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নে বড় বিরক্ত হন। কিন্তু তাহার পরিণতি যে এত তিক্ত হইবে তাহা ভাবি নাই। গির্বাশবাৰু দুষ্ট তিনটি প্রশ্ন কবিতেই ডাঃ সরকার যেন ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিলেন। চিৎকার করিয়া বলিলেন। --অারে মশাই, আপনি তো আচ্ছা লোক ! চিকিৎসা-শাস্ত্রে কি আপনার কোন জ্ঞান আছে ! আমি যদি ওষুধের নাম বা রোগের নাম বলি তা হলেই বা আপনি কি বুঝবেন ? -একথা বলিয়াই তিনি একটি দুৰ্ব্বোধ্য ল্যাটিন ঔষধের নাম করিয়া বললেন - কি, বুঝলেন কিছু ? গিরীশ বাবু ততক্ষণে কৃতকৰ্ম্মের জন্য যৎপরোনাস্তি অপ্ৰতিভ হইয়া পড়িয়াছেন । ডাক্তারের কিন্তু সেদিকে খেয়াল নাই । তিনি বলিয়া চলিলেন -তবে, তবে কেন এত সব বাজে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ! উত্তেজিত ভাবে প্ৰবাণ চিকিৎসাবিদ সেদিন রোগীর কক্ষ ত্যাগ করিলেন । গিরীশবাবুর আচরণে ত্রুটি ছিল সত্য, কিন্তু ডাঃ সরকারের এ উত্তেজিত আচরণে আমি মনে অত্যন্ত ব্যথা পাইলাম। ডাঃ সরকার সম্পর্কে যেমন শ্রদ্ধা ছিল তেমনি গিরীশবাবুর প্রতিও Y